চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান (১৭) নামের এক যুবকে গ্রেপ্তার করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত কিশোর পৌরসভাধীন করইশ গ্রামের সিদ্দিক প্রধানীয়া বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার খালা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নং-১৩।
ভূক্তভোগীর খালা সেলিনা আক্তার জানান, কিশোরী উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে আমার বোনের মেয়ে, তার মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন এবং সে আমার বাড়িতে থেকে পার্লারের কাজে সহযোগিতা করে আসছিল।
বখাটে যুবক মেহেদী হাসান বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
সোমবার বিকালে (২০ জানুয়ারি) আত্মীয়র বাড়ী দাওয়াতের উদ্দেশ্যে গেলে মেহেদী হাসান সহ অজ্ঞাত তিন কিশোরকে নিয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় করে কচুয়া শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে আটক রেখে ধর্ষণ করে।
ধর্ষন শেষে পুনরায় তাকে অটোরিক্সায় করে করইশ বড় বাড়ির সামনে আসলে মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আমার কাছে পৌছে দেয়।
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলার কিশোরীকে এনে ধর্ষণ করার ঘটনায় হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-সোমবার আমি অফিসের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ছিলাম। ধর্ষণের বিষয়ে আমার জানা নেই।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আব্দুল হালিম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধীত-২০২০) এর ৭/৯(১) রুজু করে আসামী মেহেদী হাসানকে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষিতাকে চাঁদপুর জেলারেল হাসপাতালে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে।