প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরব রিয়াদ প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সভাপতি, মোহনা টেলিভিশনের সৌদি আরব প্রতিনিধি সাংবাদিক ও নাট্যকার রোটারিয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় এর বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল খালেক পাটোয়ারীর দশম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটার ও প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বাথা সানসিটি পলিক্লিনিক হল রুমে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক মোঃ রুস্তম খান।
বক্তারা বলেন মরহুম আবদুল খালেক পাটোয়ারী একজন নিবেদিত মানুষ, কর্মময় জীবনেও সততার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন, একাধারে তিনি একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ছিলেন ।
তিনি চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এর সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন । সন্মানের সাথে তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। দেশের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের সভাপতি কবি মসি সিরাজের সভাপতিত্বে – সাংবাদিক ও নাট্যকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনটিভির সৌদি আরব প্রতিনিধি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ চান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সিলেট বিভাগ পরিষদের উপদেষ্টা এরশাদ আলী, মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল,সানসিটি পলিক্লিনিক অ্যাডমিন মাহবুবুল ইসলাম, প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ ভুঁইয়া, রিয়াদ প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ইডিসির সহকারী মার্কেটিং ডিরেক্টর শওকাত হোসেন রিপন, প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ইডিসি অফিস ইনচার্জ আবু সায়েদ মোঃ তারেক, বাথা তাজ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আলমগীর হোসেন মিন্টু, শাহরাস্তি ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন রবি,রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটার এর উপদেষ্টা আব্বাস উদ্দিন সহ সভায় সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মরহুম আবদুল খালেক পাটোয়ারী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
মরহুম আবদুল খালেক পাটোয়ারী দশম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রিয়াদে কর্মহীন শতাধীক মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সহযোগিতায়- আরিফুর রহমান টিটু, মির্জা কামাল, হাফিজুল ইসলাম পলাশ, সালাউদ্দিন আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, সামছুউদ্দিন, সবুজ, সাদেকুর রহমান, আবদুল ওহাব প্রমুখ।
উল্লেখ্য মরহুম আবদুল খালেক পাটোয়ারী চাঁদপুর শাহরাস্তি পৌর ১১ নং ওয়ার্ড এর আলোকিত কৃষ্ণপুর পাটোয়ারী বাড়ির কৃতি সন্তান। সরকারি চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকে নিজ গ্রামেই তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন, নিজ গ্রামের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের খেদমত করেই দিন কাটাতেন। হঠাৎ করে ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুনিয়ার সকল মায়া ত্যাগ করে আল্লাহর ডাকে চলে গেছেন। যাওয়ার বেলায় নিজেও কস্ট পান নি, কাউকে কস্ট দেননি। সততা আর সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন বলে তার পরিবার জানিয়েছেন।
তাহার ৫ ছেলে, ৩ মেয়ে রয়েছে। বাবা, মায়ের শেখানো আদর্শ গুলো নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন।