গেল দুই মৌসুমে সেচ পানির অভাবে ধান আবাদ করতে পারেনি একহাজার কৃষক। এবারও অনাবাদি থাকবে জমি, এমন শঙ্কায় ছিলেন তারা। এমন খবরে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ালেন একজন সফল সমবায়ী। এতে খুশি কৃষক। বিনা খরচে সেচ সুবিধায় সকল জমি ফসলে ভরে উঠবে, ঘুচবে বেকারত্ব আশা সচেতন মহলের।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের খাড়খাদিয়া ও সকদিরামপুর এলাকা। গেল দুইবছর অনাবাদি ছিলো অন্তত একশ একর জমি। এবারও একই অবস্থা হওয়ার কথা। কিন্তু না এবার আর তেমনটি হলো না। ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রি সেচ সুবিধা পাওয়া খুশি এলাকার কৃষক।
স্থানীয় কৃষক আলী আহম্মদ, সফিক মিয়া ও জমির উদ্দীন বলেন, গত দুই বই বছর এ এলাকায় এ মৌসুমে ধান আবাদ করা যায়নি।
শুধু মাত্র সেচ পানি অভাবে। এবার জসিম শেখ পানির ব্যবস্থা করা দেয়ায় ধান আবাদ করা যাবে। আশা করি ভালো ফলন হবে।
সম্প্রতি সরকারি খাল থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দীন শেখ। কৃষি জমি অনাবাদি থাকবে, এটা দেশের জন্য শুভকর নয়।
দেশের প্রতিটি এলাকায় কৃষকের পাশে সামর্থবানরা এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সচেতন মহল বলছে, এটি নিশ্চয় ভালো কাজ। ব্যক্তির চেয়ে সামষ্টিকভাবে মানুষকে সহযোগিতা করা বিশেষ বিষয়। এতে বেকারত্ব গুচার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে দেশের সক্ষমতা বাড়বে।
স্থানীয় শিক্ষানুরগি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় ভাবে কৃষকদের পাশে ধনবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন। তবেই কোনো ফসলি জমি অনাবাদি থাকবে না।
সুশাসনের জন্য নাগরিক এর চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা বলেন, কৃষকদের কথা এভাবে প্রতিটি সচেতন মহল কে ভাবা প্রয়োজন। তবেই বাংলাদেশের মানুষ খাদ্যের জন্য স্বনির্ভরতা অর্জন করবে।