ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশ

ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশ। জ্যৈষ্ঠ হল বাংলা সনের দ্বিতীয় মাস এবং গ্রীষ্মের শেষ মাস। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নামানুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে।
ষড় ঋতুর বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। আর ছয় ঋতু হলঃ গ্রীস্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। এই দেশের আবহাওয়া ঋতুর পরিবর্তনের সাথে প্রকৃতি তার আপম মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে রুপধারণ করে। আজ ১৪ জুন বাংলা ১৪২৯ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্যমাসের শেষ দিন। এইদিন বিকালে সূর্য অস্তমিত হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বাংলার ষড়ঋতুর অন্যতম বর্ষা ঋতুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দিনের শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছে। আগামীকাল ১৫ জুন বুধবার বর্ষাঋতু শুরু হবে। বাঙ্গালি নামেই এই ঋতুতে পুলকিত হয়। বর্ষার রিমিঝিম বৃষ্টি কবি কুলে নতুন করে ভাবনার নতুন উন্মেষ ঘটে। শুধু কি কবি সব মানুষের মাঝে নতুন শিহরণ তৈরি করে। রিমঝিম বৃষ্টিতে যে কেউ কাক ভিজা হতে চায় আপন মনে।
বর্ষায় চারপাশ মুখরিত থাকে কদম, কেয়া, কামিনী, বেলি ও বকুলের সুবাসে।
বর্ষায় ফোটা ফুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কদম, বকুল, স্পাইডার লিলি, দোলনচাঁপা, সুখদর্শন, ঘাসফুল, শাপলা, সন্ধ্যামালতি, কামিনী, গুলনার্গিস, দোপাটি ও অলকানন্দ প্রভৃতি।
বাংলা সালের ইতিহাস
——————————
বাংলা বর্ষপঞ্জি বা বঙ্গাব্দ হল একটি সৌর বর্ষপঞ্জি। যা ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। বর্ষপঞ্জিটির একটি সংশোধিত সংস্করণ বাংলাদেশের জাতীয় ও সরকারি বর্ষপঞ্জি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে বর্ষপঞ্জিটির পূর্ববর্তী সংস্করণ অনুসরণ করা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নামে পরিচিত।
বাংলা সনকে বলা হয় বাংলা সংবৎ বা বঙ্গাব্দ। এখানে একটি শূন্য বছর আছে যা শুরু হয় ৫৯৩/৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে। এটি যদি পহেলা বৈশাখের আগে হয় তবে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির খ্রিস্টাব্দ বা কমন এরা বছরের তুলনায় ৫৯৪ বছর কম, অথবা পহেলা বৈশাখের পরে হলে ৫৮৩ বছর কম হবে।
বাংলা বর্ষপঞ্জির সংশোধিত সংস্করণ ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ভারতের বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐতিহ্যগত ভারতীয় হিন্দু বর্ষপঞ্জি ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে ও এটি হিন্দু উৎসবগুলো নির্ধারণ করে।
কিছু ইতিহাসবিদ ৭ম শতাব্দীর হিন্দু রাজা শশাঙ্ককে বাংলা বর্ষপঞ্জির জন্য দায়ী করেন, যার শাসনকাল ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের বাংলা সালকে আবৃত করে আছে। বঙ্গাব্দ (বাংলা সন) শব্দটি আকবরের সময়কালের চেয়ে বহু শতাব্দী পুরনো দুটি শিব মন্দিরেও পাওয়া যায়, যা থেকে বোঝা যায় যে আকবরের সময়ের অনেক আগে থেকেই একটি বাংলা বর্ষপঞ্জি বিদ্যমান ছিল।
প্রাচীনকালে হিন্দুরা একটি বর্ষপঞ্জি পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল।ছয়টি প্রাচীন বেদাঙ্গের মধ্যে একটি যার নাম জ্যোতিষ।হল সময় ধরে রাখার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী সংস্থার গতিবিধি নজরদারি ও ভবিষ্যদ্বাণী করার বৈদিক যুগের ক্ষেত্র। এটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি বৈদিক আচার-অনুষ্ঠানের জন্য একটি পরিশীলিত সময় বজায় রাখার পদ্ধতি ও বর্ষপঞ্জি তৈরি করেছিল।
হিন্দু বিক্রমীয় বর্ষপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে রাজা বিক্রমাদিত্যর নামানুসারে এবং শুরু হয় ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।ভারতের গ্রামীণ বাঙালি সম্প্রদায়গুলোয়, ভারত ও নেপালের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাংলা বর্ষপঞ্জি “বিক্রমাদিত্য” নামে পরিচিত। যাইহোক, এই যেখানে এটি ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয় অঞ্চলগুলোর বিপরীতে বাংলা বর্ষপঞ্জি ৫৯৩ থেকে শুরু হয় যা প্রস্তাব করে যে প্রারম্ভিক সূত্রের বছরটি কিছু সময়ে সামঞ্জস্য করা হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজবংশ যাদের অঞ্চল বাংলায় বিস্তৃত ছিল, ১৩শ শতাব্দীর আগে তারা বিক্রমীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করত। উদাহরণস্বরূপ, পাল সাম্রাজ্যের যুগে সৃষ্ট বৌদ্ধ গ্রন্থ ও শিলালিপিতে “বিক্রম” ও আশ্বিনের মতো মাসগুলোর উল্লেখ রয়েছে, একটি পদ্ধতি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যত্র সংস্কৃত গ্রন্থে পাওয়া যায়।
হিন্দু পণ্ডিতরা সূর্য, চাঁদ ও গ্রহের চক্র পর্যবেক্ষণ এবং গণনা করে সময় রাখার চেষ্টা করতেন। সূর্য সম্পর্কে এই গণনাগুলো সংস্কৃতের বিভিন্ন জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গ্রন্থে দেখা যায়, যেমন আর্যভট্টের ৫ম শতাব্দীর আর্যভট্টিয়া, লতাদেবের ৬ষ্ঠ শতাব্দীর রোমাক ও বরাহমিহির দ্বারা পঞ্চ সিদ্ধান্তিক, ব্রহ্মগুপ্তের ৭ম শতাব্দীর খন্ডখ্যাদ্যাক এবং অষ্টম শতাব্দীর সিদ্ধাধিশ্যাক। এই গ্রন্থগুলো সূর্য ও বিভিন্ন গ্রহ উপস্থাপন করে এবং সংশ্লিষ্ট গ্রহের গতির বৈশিষ্ট্যগুলো অনুমান করে। সূর্যসিদ্ধান্তের মতো অন্যান্য গ্রন্থগুলি তম শতাব্দী থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা যায়।
পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও ঝাড়খণ্ডের মতো ভারতীয় রাজ্যে বাঙালিদের দ্বারা ব্যবহৃত বর্তমান বাংলা বর্ষপঞ্জিটি সংস্কৃত পাঠ সূর্য সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি প্রথম মাস বৈশাখ হিসেবে মাসগুলোর ঐতিহাসিক সংস্কৃত নাম ধরে রেখেছে। তাদের বর্ষপঞ্জিটি হিন্দু বর্ষপঞ্জি পদ্ধতির সাথে আবদ্ধ থাকে ও বিভিন্ন বাঙালি হিন্দু উৎসব নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব উত্তরে ইমামের রাজকীয় বিদায়

ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশ। জ্যৈষ্ঠ হল বাংলা সনের দ্বিতীয় মাস এবং গ্রীষ্মের শেষ মাস। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নামানুসারে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে।
ষড় ঋতুর বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। আর ছয় ঋতু হলঃ গ্রীস্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। এই দেশের আবহাওয়া ঋতুর পরিবর্তনের সাথে প্রকৃতি তার আপম মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে রুপধারণ করে। আজ ১৪ জুন বাংলা ১৪২৯ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্যমাসের শেষ দিন। এইদিন বিকালে সূর্য অস্তমিত হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বাংলার ষড়ঋতুর অন্যতম বর্ষা ঋতুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দিনের শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছে। আগামীকাল ১৫ জুন বুধবার বর্ষাঋতু শুরু হবে। বাঙ্গালি নামেই এই ঋতুতে পুলকিত হয়। বর্ষার রিমিঝিম বৃষ্টি কবি কুলে নতুন করে ভাবনার নতুন উন্মেষ ঘটে। শুধু কি কবি সব মানুষের মাঝে নতুন শিহরণ তৈরি করে। রিমঝিম বৃষ্টিতে যে কেউ কাক ভিজা হতে চায় আপন মনে।
বর্ষায় চারপাশ মুখরিত থাকে কদম, কেয়া, কামিনী, বেলি ও বকুলের সুবাসে।
বর্ষায় ফোটা ফুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কদম, বকুল, স্পাইডার লিলি, দোলনচাঁপা, সুখদর্শন, ঘাসফুল, শাপলা, সন্ধ্যামালতি, কামিনী, গুলনার্গিস, দোপাটি ও অলকানন্দ প্রভৃতি।
বাংলা সালের ইতিহাস
——————————
বাংলা বর্ষপঞ্জি বা বঙ্গাব্দ হল একটি সৌর বর্ষপঞ্জি। যা ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। বর্ষপঞ্জিটির একটি সংশোধিত সংস্করণ বাংলাদেশের জাতীয় ও সরকারি বর্ষপঞ্জি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে বর্ষপঞ্জিটির পূর্ববর্তী সংস্করণ অনুসরণ করা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নামে পরিচিত।
বাংলা সনকে বলা হয় বাংলা সংবৎ বা বঙ্গাব্দ। এখানে একটি শূন্য বছর আছে যা শুরু হয় ৫৯৩/৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে। এটি যদি পহেলা বৈশাখের আগে হয় তবে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির খ্রিস্টাব্দ বা কমন এরা বছরের তুলনায় ৫৯৪ বছর কম, অথবা পহেলা বৈশাখের পরে হলে ৫৮৩ বছর কম হবে।
বাংলা বর্ষপঞ্জির সংশোধিত সংস্করণ ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ভারতের বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐতিহ্যগত ভারতীয় হিন্দু বর্ষপঞ্জি ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে ও এটি হিন্দু উৎসবগুলো নির্ধারণ করে।
কিছু ইতিহাসবিদ ৭ম শতাব্দীর হিন্দু রাজা শশাঙ্ককে বাংলা বর্ষপঞ্জির জন্য দায়ী করেন, যার শাসনকাল ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের বাংলা সালকে আবৃত করে আছে। বঙ্গাব্দ (বাংলা সন) শব্দটি আকবরের সময়কালের চেয়ে বহু শতাব্দী পুরনো দুটি শিব মন্দিরেও পাওয়া যায়, যা থেকে বোঝা যায় যে আকবরের সময়ের অনেক আগে থেকেই একটি বাংলা বর্ষপঞ্জি বিদ্যমান ছিল।
প্রাচীনকালে হিন্দুরা একটি বর্ষপঞ্জি পদ্ধতি গড়ে তুলেছিল।ছয়টি প্রাচীন বেদাঙ্গের মধ্যে একটি যার নাম জ্যোতিষ।হল সময় ধরে রাখার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী সংস্থার গতিবিধি নজরদারি ও ভবিষ্যদ্বাণী করার বৈদিক যুগের ক্ষেত্র। এটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি বৈদিক আচার-অনুষ্ঠানের জন্য একটি পরিশীলিত সময় বজায় রাখার পদ্ধতি ও বর্ষপঞ্জি তৈরি করেছিল।
হিন্দু বিক্রমীয় বর্ষপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে রাজা বিক্রমাদিত্যর নামানুসারে এবং শুরু হয় ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।ভারতের গ্রামীণ বাঙালি সম্প্রদায়গুলোয়, ভারত ও নেপালের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাংলা বর্ষপঞ্জি “বিক্রমাদিত্য” নামে পরিচিত। যাইহোক, এই যেখানে এটি ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয় অঞ্চলগুলোর বিপরীতে বাংলা বর্ষপঞ্জি ৫৯৩ থেকে শুরু হয় যা প্রস্তাব করে যে প্রারম্ভিক সূত্রের বছরটি কিছু সময়ে সামঞ্জস্য করা হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজবংশ যাদের অঞ্চল বাংলায় বিস্তৃত ছিল, ১৩শ শতাব্দীর আগে তারা বিক্রমীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করত। উদাহরণস্বরূপ, পাল সাম্রাজ্যের যুগে সৃষ্ট বৌদ্ধ গ্রন্থ ও শিলালিপিতে “বিক্রম” ও আশ্বিনের মতো মাসগুলোর উল্লেখ রয়েছে, একটি পদ্ধতি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যত্র সংস্কৃত গ্রন্থে পাওয়া যায়।
হিন্দু পণ্ডিতরা সূর্য, চাঁদ ও গ্রহের চক্র পর্যবেক্ষণ এবং গণনা করে সময় রাখার চেষ্টা করতেন। সূর্য সম্পর্কে এই গণনাগুলো সংস্কৃতের বিভিন্ন জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গ্রন্থে দেখা যায়, যেমন আর্যভট্টের ৫ম শতাব্দীর আর্যভট্টিয়া, লতাদেবের ৬ষ্ঠ শতাব্দীর রোমাক ও বরাহমিহির দ্বারা পঞ্চ সিদ্ধান্তিক, ব্রহ্মগুপ্তের ৭ম শতাব্দীর খন্ডখ্যাদ্যাক এবং অষ্টম শতাব্দীর সিদ্ধাধিশ্যাক। এই গ্রন্থগুলো সূর্য ও বিভিন্ন গ্রহ উপস্থাপন করে এবং সংশ্লিষ্ট গ্রহের গতির বৈশিষ্ট্যগুলো অনুমান করে। সূর্যসিদ্ধান্তের মতো অন্যান্য গ্রন্থগুলি তম শতাব্দী থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা যায়।
পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও ঝাড়খণ্ডের মতো ভারতীয় রাজ্যে বাঙালিদের দ্বারা ব্যবহৃত বর্তমান বাংলা বর্ষপঞ্জিটি সংস্কৃত পাঠ সূর্য সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি প্রথম মাস বৈশাখ হিসেবে মাসগুলোর ঐতিহাসিক সংস্কৃত নাম ধরে রেখেছে। তাদের বর্ষপঞ্জিটি হিন্দু বর্ষপঞ্জি পদ্ধতির সাথে আবদ্ধ থাকে ও বিভিন্ন বাঙালি হিন্দু উৎসব নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।