মোঃ রাছেল : কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতঘর পুড়েছাই হয়ে গেছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নাংলা সরকার বাড়ির মৃত. মহাদেব চন্দ্র সরকারের ছেলে অমৃৃত চন্দ্র সরকারের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পাখি রানী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি অমৃতের বসতঘরে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হয়ে আসার আগেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়ারা এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে ঘরে থাকা নগদ টাকা, ধান, চাল, হাড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি ও যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্র পাত ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কাঠমিস্ত্রি অমৃত চন্দ্র সরকার বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমার পরিবারকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে খবর পেলাম আমাদের ঘরে আগুন লেগেছে। ওইখান থেকে রাতেই ফিরে এসে দেখি আমাদের কিছুই নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি কি করবো, কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছিনা।তাঁর প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অমৃত চন্দ্র সরকারের স্ত্রী খুকি রাণী সরকার বলেন, দুই মেয়েকে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব? তাদের জামা কাপড়, বইপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন কিভাবে পড়াশোনা করবে! আমার মেয়েদের কি উপায় হবে? এসব বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও ইউপি সদস্য হান্নান মিয়া। তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা করার আশ্বাসও দেন।
শনিবার দুপুরে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠমিস্ত্রি অমৃত চন্দ্র সরকার তার পরিবারও সন্তানদের শান্তনা দেয়।
কচুয়া ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মাহতব মন্ডল জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বসতঘরটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।