সজীব খান : স্বপ্নের লন্ডন হাওয়া হলনা মেহেদী হাসান শান্তর, সড়ক দুর্ঘটনায় নিবে গেলে শান্তর পরিবারের সেই আশার প্রদীপ।
এসএসসি পরিক্ষার পর জীবনকে বদলে দিতে লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাবা মার স্বপ্ন পূরনে লন্ডন যাওয়ার চিন্তা চেতনায় উজ্জীবিত শান্ত একে বারে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো, যে ঘুম ভাঙবেনা কোন দিন, কাঁদবে মা, কাঁদবে বাবা, কাঁদবে পরিজন, কিন্তু ভাঙবেনা তার ঘুম। নিথর দেহ পরে থাকবে অন্ধকার কবরে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের মোঃ হানিফ পাটওয়ারীর এক মাত্র ছেলে মেহেদী হাসান শান্ত এসএসসি পরিক্ষা শেষ করে আনন্দ করতে বন্ধুদের সাথে কপি হাউজ থেকে ফেরার পথে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়, সাথে নিহত হয় একই বাড়ির আক্তার পাটওয়ারীর ছেলে আশ্ররাফুল ইসলাম আসিফ।
কয়েকদিন পর রেজাল্ট বের হবে, হয়তো তারা ভাল রেজাল্ট করবে, তারপর পড়ে থাকবে তাদের সার্টিফিকেট, উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য হবেনা তাদের ছুটা ছুটি।
২৩ নভেম্বর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল শান্তর তাজা প্রান। কে জানতো, এসএসসি পরিক্ষা শেষ করে বন্ধুদের সাথে মোটর সাইকে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে। জানাযার নামাজের পর চিরস্থায়ী ঘরে রেখে দিয়ে আসছে, পরিবার পরিজন এলাকাবাসী। কিন্তু জনম দুঃখী মা কি করে নিজেকে শান্তনা দিবে, একমাত্র ছেলেকে ঘীরে, স্বপ্ন,আশা সব কিছুই ছিল তাদের।
একটা দুর্ঘটনা তাদের বাঁচার স্বপ্ন সব কিছু ধূলিসাৎ করে দিয়ে একাকার করে দিয়েছে। মা কাঁদছে ছেলের জন্য, আর ছেলে ঘুমিয়ে আছে চিরতরে। যে প্রান শুধু হাসতো, বন্ধু বান্ধব পরিবার পরিজন সবাইকে হাসাতো। আজ সবাই কাঁদছে,আর শান্ত নিরবে ঘুমাচ্ছে। ভাল থাকিস শান্ত প্রত্যাশা সকলের, ফিরবেনা আর বাবা মার ডাকে।