ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে ২০ থেকে ২৫ কেজি

এস. এম ইকবাল : সরাকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের ১৫ টাকা কেজি চাউলের প্রতি কার্ডধারীকে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার বিধান থাকলেও সেখানে ডিলার দীর্ঘদিন ধরে ওজনে কম দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কার্ডধারীদের।

Model Hospital

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন।

চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা এটা দেখতে কয়েকজন সংবাদকর্মী ডিলারের দোকানে প্রবেশের পূর্বেই দেখতে পান সেলিম নামের এক ব্যক্তি চাল নিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ কর্মীরা চালের পরিমান কম অনুভব করায় তাৎক্ষণিক সেলিমকে চাল ওজন করার জন্য বললে তিনি পার্শ্ববর্তী মোর্শেদ আলমের হার্ডওয়্যার দোকানে একাধিক ব্যক্তির সামনে চাল ওজন করে দেখে ওই বস্তায় ২২ কেজি ৩‘শ ৩০ গ্রাম চাল রয়েছে। সাথে-সাথেই ওই চালের বস্তা নিয়ে ভূক্তভোগি সেলিম ডিলারের দোকানে নিয়ে গেলে ট্যাগ অফিসার এবং সংবাদ কর্মীদের সামনেই চাল কম দেওয়ার কথা বললে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার চালের বস্তা ও কার্ড চিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও সেলিমের সাথে অশোভন আচরন করে এবং তার কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়।

এসময় সংবাদ কর্মীরা চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় অফিসার নাজমুন নাাহারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। এদিকে চালের বস্তাসহ চাল বিতরন করার কথা থাকলেও বস্তা খুলে রেখে, অন্য বস্তায় চাল দিচ্ছে ডিলার।

তাৎক্ষণিক ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খাদ্য গুদাম থেকে যে ভাবে চাল পাই সে আলোকে চাল বিতরন করা হচ্ছে। আপনাদের কোন কথা থাকলে খাদ্য অফিসের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফসার উদ্দিন ও ওসি এলএসডি ইমতিয়াজ বুলবুল সাকি বলেন, ডিলারদেরকে আমরা সঠিক নিয়মেই চাল পাঠিয়েছি। বিতরনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাছানের কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেছি।

উল্লেখ, ইতিপূর্বে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল বিতরনে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

ফরিদগঞ্জে ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে ২০ থেকে ২৫ কেজি

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

এস. এম ইকবাল : সরাকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের ১৫ টাকা কেজি চাউলের প্রতি কার্ডধারীকে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার বিধান থাকলেও সেখানে ডিলার দীর্ঘদিন ধরে ওজনে কম দিচ্ছেন বলে অভিযোগ কার্ডধারীদের।

Model Hospital

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন।

চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা এটা দেখতে কয়েকজন সংবাদকর্মী ডিলারের দোকানে প্রবেশের পূর্বেই দেখতে পান সেলিম নামের এক ব্যক্তি চাল নিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ কর্মীরা চালের পরিমান কম অনুভব করায় তাৎক্ষণিক সেলিমকে চাল ওজন করার জন্য বললে তিনি পার্শ্ববর্তী মোর্শেদ আলমের হার্ডওয়্যার দোকানে একাধিক ব্যক্তির সামনে চাল ওজন করে দেখে ওই বস্তায় ২২ কেজি ৩‘শ ৩০ গ্রাম চাল রয়েছে। সাথে-সাথেই ওই চালের বস্তা নিয়ে ভূক্তভোগি সেলিম ডিলারের দোকানে নিয়ে গেলে ট্যাগ অফিসার এবং সংবাদ কর্মীদের সামনেই চাল কম দেওয়ার কথা বললে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার চালের বস্তা ও কার্ড চিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও সেলিমের সাথে অশোভন আচরন করে এবং তার কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়।

এসময় সংবাদ কর্মীরা চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় অফিসার নাজমুন নাাহারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। এদিকে চালের বস্তাসহ চাল বিতরন করার কথা থাকলেও বস্তা খুলে রেখে, অন্য বস্তায় চাল দিচ্ছে ডিলার।

তাৎক্ষণিক ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খাদ্য গুদাম থেকে যে ভাবে চাল পাই সে আলোকে চাল বিতরন করা হচ্ছে। আপনাদের কোন কথা থাকলে খাদ্য অফিসের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফসার উদ্দিন ও ওসি এলএসডি ইমতিয়াজ বুলবুল সাকি বলেন, ডিলারদেরকে আমরা সঠিক নিয়মেই চাল পাঠিয়েছি। বিতরনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাছানের কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেছি।

উল্লেখ, ইতিপূর্বে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল বিতরনে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।