স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরে এখন আতংকের নাম কিশোর গ্যাং। ইতিমধ্যে চাঁদপুর শহরে এই কিশোর গ্যাংয়ের বেশকটি আলোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অধিকাংশ হামলার ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। কেউ কেউ আটক হয়ে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারেও গিয়েছেন। তারপর ও কমছে না, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এবার শহরতলীর বাবুরহাট এলাকার দাসদীতে কিশোর গ্যাং কুপিয়ে জখম করলো ৮ম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্র কে।
আহত শিক্ষার্থীর পিতা লিটন গাজী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত এক মামলা সূত্রে জানা গেছে, দাসদী বোরহান উদ্দিন মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া সন্তান নিয়াদ হোসেন গাজী (১৪) সাথে একই এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্যদের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের লীডার সবুজ ডাক্তার (১৯), পিতা-মাসুম ডাক্তার মিন্টুর নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সদস্য শামীম হোসেন (১৮) পিতা- দুলাল মিজি, হৃদয় (১৮) পিতা- মিজান হোসেন, বোরহান (১৯) এস কে রাকিব (১৯) সহ আরো বেশকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মৈশাদীস্থ খান বাড়ির সামনে মাদ্রাসার ছাত্র নিয়াদ হোসেন কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
তাৎক্ষণিক আহতের ডাক চিকিৎকারে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহত নিয়াদ কে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে নিয়াদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়াছে।
এ ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদ ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠান৷ কিন্তু ততক্ষণে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ঘটনাস্হল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহত নিয়াদ হোসেন গাজীর বাবা লিটন গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি এজাহার করেন।