সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : মা ইলিশের প্রজননের ২২ দিন নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলে ও আড়তদারের পদচারণায় সরব হয়ে উঠেছে চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। তবে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। ইলিশের জন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি পরিচিত হলেও এবার সেখানে আসছে পদ্মা নদীর পাঙ্গাস মাছ। জেলেরা নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলেও ধরা পড়ছে বড় আকারের পাঙ্গাস। কোনো কোনো জেলের নৌকা থেকে দিনে ৪০/৪৫টি পর্যন্ত পাঙ্গাস ঘাটে নামাতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টবর) বিকেলে জেলে ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে। জেলেরা বলছেন, ১২ আঙ্গুল ফাইল ডোম জালে আটকা পড়ছে পাঙ্গাস। আর ইলিশ না পেয়ে পাঙ্গাস বিক্রি করে উঠাতে হচ্ছে ট্রলারের তেলসহ অন্যান্য খরচ।
চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত বলেন, এখানে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে। আর এ সব পাঙ্গাস ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০ মণ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে। পদ্মার পাঙ্গাস সুস্বাদু হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল বাস্তবায়ন হয়েছে বলে নদীতে ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাসসহ নানা প্রজাতির মাছ বেড়েছে। ইলিশ নিয়ে জেলেদের হতাশ হবার কারণ নেই। সামনে বড় বড় ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদী গবেষণা কেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, নদীতে মা ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম ছেড়েছে। তাই টার্গেট অনুযায়ী জেলেরা নদীতে ইলিশ পাবেন বলে আশা করা যায়। এবার ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর নদীর পানিতে পর্যাপ্ত খাবার থাকায় বড় বড় পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে।
যদিও আশানুরূপ ইলিশ এখনও জালে পাচ্ছেন না জেলেরা। তবে এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে চাঁদপুর মাঝঘাটের ব্যবসায়ী ও জেলেরা আশা করছেন।