মোঃ মাসুদ রানা : শাহরাস্তিতে এক বখাটের লালসার শিকার হয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত ওই লম্পট শিশুটিকে শ্লীলতাহানি শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
সোমবার পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তকে আটক করে চাঁদপুর কোটে প্রেরণ করেন।
শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির কাদরা গ্রামের মিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর পরিবার ও শাহরাস্তি থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ওই বাড়ির প্রবাসী শাহাদাত হোসেনের ছোট মেয়ে কাদরা সপ্রাবিতে পড়ুয়া প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানহা আক্তার নাদিয়ার (৮) পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ করে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলোনা।
পরে রোববার (৬ নভেম্বর) দিনশেষে রাতে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে নাদিয়ার অচেতন দেহ উদ্ধার করে। স্বজনরা পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করে। ওই ঘটনা এলাকায় চাউর হতেই শাহরাস্তি মডেল থানার একদল পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে চাঁদপুর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য তার দেহ প্রেরণ করে। ওই রাতেই পুলিশ স্থানীয় খেড়িহর গ্রামের আঃ কাদেরের পুত্র ছিঁচকে চোর খ্যাত মানিক হোসেনকে আটক করে।
নাদিয়ার মা তাসলিমা গণমাধ্যমকে জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি ব্রাক স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছিল। ওই দিন সে স্কুলের পাঠ গ্রহণ শেষে বিকেলে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলতে গিয়ে হারিয়ে যায়।
শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা আরো জানায়, অভিযুক্ত মানিক এলাকায় পূর্ব থেকে ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিতি ছিল। ওই বখাটে যুবক মানিককে নাদিয়া স্থানীয়দের ভাষায় চোর হিসেবে ডেকে দুষ্টামি করত। ওই ক্ষোভ থেকে মানিক এই কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মানিক পুলিশকে জানায়, ধর্ষণের সময় নাদিয়ার চিৎকার দিলে তার মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মরদেহ পাশের ডুবায় ফেলে কেটে পড়ে সে ।
এ প্রসঙ্গে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, নাদিয়ার মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মানিককে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরবর্তীতে অধিক তদন্ত শেষে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।