স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন উপজেলার টি এন টি মোড় কলাদী মেসার্স আব্দুল লতিফ চৌধুরী এন্ড সন্স এর অফিস থেকে গোডাউনের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২৪ লাখ,৩ হাজার ৪শত ২৮ টাকার টাকার সিগারেট চুরি হয়েছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
২১ নভেম্বর সোমবার মধ্যরাতে এই চুরির গঠনা সংগঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার থেকে জানা যায় ২৪,০৩৪২৮ লাখ টাকার সিগারেট চুরির ঘটনায় মেসার্স আব্দুল লতিফ চৌধুরী এন্ড সন্সের দায়িত্ব থাকা সেলস সুপারভাইজার মেহেদী হাসান ইমনসহ বিক্রয় প্রতিনিধির ৩ জনকে আটক করা হয়।
মালামাল চুরি হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী মের্সাস আব্দুল লতিফ চৌধুরী এন্ড সন্স ( ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিঃ ) এর ম্যানাজার মামুনুর রশিদ বলেন সেলস সুপারভাইজার মেহেদী হাসান ইমন মতলব দক্ষিন উপজেলার হানিফ ভবনে মেসার্স আব্দুল লতিফ চৌধুরী এন্ড সন্সের মালিকানাধীন ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকো মতলব দক্ষিন শাখা অফিসে সেলস সুপারভাইজার ও রক্ষণাবেক্ষণর দায়িত্ব পালন করে আসছিলো।
ঘটনার আগের দিন ২০ নভেম্বর চাঁদপুর মেইন অফিস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট শাখা অফিসে পাঠাই।তখন ঐ মালামাল শাখা অফিসের দায়িত্বে থাকা সেলস সুপারভাইজার মেহেদী হাসান ইমন রিসিভ করে গোডাউনে রাখেন।নিয়মিত সার্ভিস থেকে অবশিষ্ট মালামাল মেহেদী হাসান ইমনের দায়িত্ব গোডাউনে থাকার কথা।এবং সে রাতে অফিসে থাকার কথা।কিন্তু সে ঐদিন সে অফিসে রাত্রী যাপন করে নি বলে পরে আমাকে জানায়।ঘটনার দিন সোমবার সকালে ৭.১৫ মিনিটে মেহেদী হাসান ইমন আমাকে ফোন করে বলেন রাতে আমাদের অফিস থেকে সব সিগারেট চুরি হয়ে গেছে।এই কথা শুনে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে আসি।পরে পুলিশ এসে পরিদর্শন ও তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের মামলা গ্রহন করে।
এই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় জানতে চাইলে মতলব দক্ষিন থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক ভাবে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ১ নং নাম্বার আসামী মেহেদী হাসান ইমন ২৪ লাখ টাকার সিগারেট চুরি হওয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।কে বা কারা সংঘবদ্ধ হয়ে এই চুরির ঘটনাটি করেছে তা অতি দ্রুত বের হয়ে আসবে।
এই ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে করে অজ্ঞাত আরোও ৫/৬ আসামী করে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন মতলব শাখা অফিসের সেলস সুপারভাইজার মেহেদী হাসান ইমন, ইমনের ছোট ভাই রিমন, বিক্রয় প্রতিনিধি লিটন,জলিল ও সুমনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন।