ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি খেকো চক্রের হানা; হাইমচরে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হুমকির মুখে

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আবারও সেই মাটি খেকো চক্রের হানা। এবার সকল দিক ম্যানেজ করেই বড় পরিশরে মাটি কেটে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে নীলমল ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে একেবারেই মুছে যাচ্ছে ৭নং ওয়ার্ডের শিকদার কান্দি নামক একটি গ্রাম। হুমকির মুখে পড়ছে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।
জানাজায়, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শিকদার কান্দিতে ৪ থেকে ৫টি বেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে এ মাটি খেকো চক্রটি। তাঁরা মাটি কেটে জাহাজে করে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইটভাটায় বিক্রি করছেন। চক্রটি হচ্ছে মোটা অংকের টাকার লাভবান। ধ্বংস হচ্ছে নীলকমল ইউনিয়ন। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সরকারি জায়গা, বিলীন হচ্ছে একটি গ্রাম।
খবর নিয়ে জানাজায়, এ মাটি খেকো চক্রের মূল হোতা কল্যান পুর ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য রনি। যার নেতৃত্বে এ চক্রটি উপজেলার নেতা কর্মি থেকে শুরু করে সকল স্তরের লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মাটি বিক্রি করছেন। অভিযোগ রয়েছে মাটি খেকো চক্রের সাথে নীলকমল ইউনিয়ন ও উপজেলার আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতারাও জড়িত রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, আপনাদের লেখনির মাধ্যমে এই চর রক্ষা পেয়েছিল। তখন রতন হাজী বাঁধা দেওয়ায় তারা মাটি কাটতে পারেনি। এখন তারা রতন হাজীকেও ম্যানেজ করে নিয়েছে। শুনেছি উপজেলার বড় এক নেতার মাধ্যমে আপনাদেরকেও ম্যানেজ করেছে। আমরা হাত জোর করে অনুরোধ করছি ক্ষনিকের কিছু টাকার জন্য আপনাদের ভিবেক বিক্রি করবেন না। আপনাদের মাধ্যমেই প্রশাসন এ চক্রটিকে আটক করে এর সাথে জড়িত সকল নেতাদের মুখোশ উম্মোচন করবে। আমাদের মাটি রক্ষায় আপনাদেরসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
ইউপি সদস্য রতন মাল জানান, আমি কিছুক্ষন আগে জানতে পেরেছি সেই মাটি খেকোরা আবারও আমার ওয়ার্ড থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি এ মাটি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতন হাজী জানান, মাটি কাটার সংবাদ জানতে পেরে তা এখন বন্ধ করে দিয়েছি। চরের মাটি কেটে নিতে দেয়া হবে না।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাসের জানান,আমার ইউনিয়নে মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আমাকে  মেম্বার ও চকিদারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য বলেছেন। আমি প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে এ মাটি খেকো চক্রদেরকে প্রতিহত করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, মাটি কাটার সংবাদ পেয়েছি। মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

মাটি খেকো চক্রের হানা; হাইমচরে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হুমকির মুখে

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আবারও সেই মাটি খেকো চক্রের হানা। এবার সকল দিক ম্যানেজ করেই বড় পরিশরে মাটি কেটে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে নীলমল ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে একেবারেই মুছে যাচ্ছে ৭নং ওয়ার্ডের শিকদার কান্দি নামক একটি গ্রাম। হুমকির মুখে পড়ছে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।
জানাজায়, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শিকদার কান্দিতে ৪ থেকে ৫টি বেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে এ মাটি খেকো চক্রটি। তাঁরা মাটি কেটে জাহাজে করে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইটভাটায় বিক্রি করছেন। চক্রটি হচ্ছে মোটা অংকের টাকার লাভবান। ধ্বংস হচ্ছে নীলকমল ইউনিয়ন। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সরকারি জায়গা, বিলীন হচ্ছে একটি গ্রাম।
খবর নিয়ে জানাজায়, এ মাটি খেকো চক্রের মূল হোতা কল্যান পুর ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য রনি। যার নেতৃত্বে এ চক্রটি উপজেলার নেতা কর্মি থেকে শুরু করে সকল স্তরের লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মাটি বিক্রি করছেন। অভিযোগ রয়েছে মাটি খেকো চক্রের সাথে নীলকমল ইউনিয়ন ও উপজেলার আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতারাও জড়িত রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, আপনাদের লেখনির মাধ্যমে এই চর রক্ষা পেয়েছিল। তখন রতন হাজী বাঁধা দেওয়ায় তারা মাটি কাটতে পারেনি। এখন তারা রতন হাজীকেও ম্যানেজ করে নিয়েছে। শুনেছি উপজেলার বড় এক নেতার মাধ্যমে আপনাদেরকেও ম্যানেজ করেছে। আমরা হাত জোর করে অনুরোধ করছি ক্ষনিকের কিছু টাকার জন্য আপনাদের ভিবেক বিক্রি করবেন না। আপনাদের মাধ্যমেই প্রশাসন এ চক্রটিকে আটক করে এর সাথে জড়িত সকল নেতাদের মুখোশ উম্মোচন করবে। আমাদের মাটি রক্ষায় আপনাদেরসহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
ইউপি সদস্য রতন মাল জানান, আমি কিছুক্ষন আগে জানতে পেরেছি সেই মাটি খেকোরা আবারও আমার ওয়ার্ড থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি এ মাটি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতন হাজী জানান, মাটি কাটার সংবাদ জানতে পেরে তা এখন বন্ধ করে দিয়েছি। চরের মাটি কেটে নিতে দেয়া হবে না।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাসের জানান,আমার ইউনিয়নে মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আমাকে  মেম্বার ও চকিদারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য বলেছেন। আমি প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে এ মাটি খেকো চক্রদেরকে প্রতিহত করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, মাটি কাটার সংবাদ পেয়েছি। মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।