ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়ে শিক্ষার্থীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহরাস্তি খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের সংবাদ সন্মেলন

নোমান হোসেন আখন্দ : শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী খিলাবাজার স্কুল কলেজের ৭ম শ্রেনীর মানসিক ভারসাম্যহীন (মেয়ে) শিক্ষার্থীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিবাভক, ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

Model Hospital

লিখিত বক্তব্যে খিলাবাজার স্বুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোশারফ হোসেন জানান, খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিঝুম (রোল-৭১) পিতা: নজরুল ইসলাম, মাতা: মুকছুদা বেগম, গ্রাম: ভেরকী, মজুমদার বাড়ী।

সে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, তার পর থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরন.মারধর, ইট পাটকেল ছোড়া, থুথু নিক্ষেপ, বই, কাগজ- কলম ছিনিয়ে নেয়া। শিক্ষক ও ছাত্রদের জড়িয়ে ধরা মারধর, হাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়া, পরনের কাপড় টেনে-হিছড়ে ছিড়ে ফেলা, প্রেমের প্রস্তাব দেয়া, বিয়ের প্রস্তাব দেয়া, উচ্ছশৃংঙ্খল আচরন করা।

বিভিন্ন ক্লাস কক্ষে ঢুকে শিক্ষকদের পাঠদানে বাধা, গালমন্দ, ব্যাগ নিয়ে টানাহেঁচড়া, শিক্ষকদের ক্লাস থেকে বের করে দেয়া। বিদ্যালয়ের আশপাশের দোকান থেকে মালামাল নিয়ে আসা, গালমন্দ করা, দোকানদারদের মারধর করা। এ সকল বিষয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ তার অভিবাভকদের সাথে বেশ কয়েকবার আলাপ- আলোচনা বৈঠক করা হলে ও তারা ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার অজুহাতে কালক্ষেপন করছেন।

তার অস্বাভাবিক এ আচরনে এ প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি , ৫০ জন শিক্ষক কর্মচারীর মানসন্মান আজ হুমকীর সমুক্ষীন।

গত ১৪ই মার্চ মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষাথী জান্নাতুল নাঈম নিঝুম, বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে অংশ নেয়, কিছুক্ষন পর তার চাচা এসে তাকে নিয়ে যায়। দুপুর ২ টায় এ শিক্ষার্থী তার শ্রেনীকক্ষের সামনে গিয়ে শিক্ষকের কাছে ক্লাসে ঢুকার অনুমতি চায়, শিক্ষক কাউছার আলম তাকে ক্লাসে ঢুকতে না দেয়ায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে গালমন্দ ও উদ্ভট আচরন করেন।

বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, ডা: মাহফুজুর রহমান কে জানানো হয়। সদস্যরা বিষয়টি তার অভিবাভককে জানানোর জন্য বললে, তার বাবা প্রবাসী হওয়ায় বিধায় তার মাকে বিষয়টি অবহিত করি, তার মা বলেন দয়া করে নিঝুমকে একটি সিএনজি যোগে পাঠিয়ে দেন, তার মা আরো জানায়, সে বাড়ী থেকে আসতে আমাকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে এসেছে। তার মায়ের অনুরোধে শিক্ষার্থী নিঝুমকে বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রাণীর মাধ্যমে বাড়ীতে পৌছানো হয়।

আয়া মায়া রাণীর ভাষ্যমতে, নিঝুমের মা নিঝুমকে ওই দিন বেদম মারধর করে। তিনি আরো জানান, তার মায়ের এ মারধরের ঘটনা একটি কুচক্রীমহল ভিন্নদিকে প্রবাহিত করে শিক্ষক কাউছার আলম ও মজিবুর রহমানের উপর দোষ ফেলছেন। শিক্ষকরা তাকে বেদম মারধর করেছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও করেছেন। সেই কুচক্রীমহল এ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে কিছু গনমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে নিউজ পোটার্ল ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করছেন। যাহা বানোয়াট ও কাল্পনিক বিষয় মাত্র।

তিনি বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও মানসিক বিকারগ্রস্থ অসুস্থ তার অস্বাভাবিক আচরনের কারনে গভর্নিং বর্ডির অধিবেশন নং ০৬/২৩ তাং ৩১/০১/২০২৩ ইং তাকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পএ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ১৬/০২/২৩ ইং অভিবাভকের নিকট নোটিশ প্রেরন করা হয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুব আলম জানান, মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন । তার বিষয়ে অনেক বৈঠক করা হয়েছে। তার অভিবাভকরা তাকে বারবার চিকিৎসার কথা বলে কোন সুরাহা করেননি। পরবর্তীতে আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ছাড়প্এ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডা: মাহফুজুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পএ দেয়া এ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে নেমেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্রানপ্রিয় শিক্ষকরা অত্যান্ত সুনাম দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন, এ শিক্ষকদের চরিএ নিয়ে টালবাহানা করছেন। যাহা দু:খজনক পরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ।

এ বিষয়ে শিক্ষক কাউছার আলম জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকেই মানসিক বিকৃত নিঝুমের ক্লাস শিক্ষক আমি। প্রতিনিয়তই তার বেঁফাস প্রস্তাব, শিক্ষাথীদের সাথে গালমন্দ অসাদাচারন সবাই অতিষ্ঠ্য হয়ে পড়েছে। ১৪ই মার্চ দুপুরে সে শ্রেনীকক্ষের সামনে আসলে ক্লাসে ঢোকার অনুমতি না দেয়ায়, সে আমার সাথে অস্বাভাবিক আচরন করে, পরে আমি তাকে বাড়ী পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এ বিষয়টিকে একটি মহল তাকে মারধর করেছি মর্মে প্রচার করছে, যাহা মিথ্যা ভিওিহীন যড়যন্ত্রমূলক।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহী এ শিক্ষার্থী ক্লাসে না ঢুকতে পেরে গালমন্দ করলে, আমি বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রানীর মাধ্যমে তাকে বাড়ীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করি, এ ঘটনাকে আমি তাকে বেএাগাত করেছি বলে প্রচার করছে, যাহা মিথ্যা ও অপপ্রচার মাত্র।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীণ অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান বিএসসি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন এ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি অপপ্রচার করছে, তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। তিল তিল করে এ প্রতিষ্ঠান আজ এ অবস্থানে পৌছেছে, যারা এ প্রতিষ্ঠানের সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি করতে চায় তাদের কঠিন হস্তে প্রতিহত করা হবে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ও রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ডা: নিমাই চন্দ্র পাল জানান, এ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহন করি, অনুষ্ঠানে আসলে দেখতাম এ মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি স্টেজে উঠে যেত মাইক নিয়ে টানাটানি করতো, নিজে নিজে গান গাইতো, কবিতা বলতো, পরে শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে জানলাম মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাএছাএীদের সাথে তার অশোভন আচরন দীর্ঘদিনের বিষয়। এ বিষয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পএ দেয়া হয়েছে।
ক্যাপশন: শাহরাস্তির খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষার্থীর বিষয়ে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মো: মোশারফ হোসেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

মেয়ে শিক্ষার্থীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহরাস্তি খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের সংবাদ সন্মেলন

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

নোমান হোসেন আখন্দ : শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী খিলাবাজার স্কুল কলেজের ৭ম শ্রেনীর মানসিক ভারসাম্যহীন (মেয়ে) শিক্ষার্থীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিবাভক, ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

Model Hospital

লিখিত বক্তব্যে খিলাবাজার স্বুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোশারফ হোসেন জানান, খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিঝুম (রোল-৭১) পিতা: নজরুল ইসলাম, মাতা: মুকছুদা বেগম, গ্রাম: ভেরকী, মজুমদার বাড়ী।

সে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, তার পর থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরন.মারধর, ইট পাটকেল ছোড়া, থুথু নিক্ষেপ, বই, কাগজ- কলম ছিনিয়ে নেয়া। শিক্ষক ও ছাত্রদের জড়িয়ে ধরা মারধর, হাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়া, পরনের কাপড় টেনে-হিছড়ে ছিড়ে ফেলা, প্রেমের প্রস্তাব দেয়া, বিয়ের প্রস্তাব দেয়া, উচ্ছশৃংঙ্খল আচরন করা।

বিভিন্ন ক্লাস কক্ষে ঢুকে শিক্ষকদের পাঠদানে বাধা, গালমন্দ, ব্যাগ নিয়ে টানাহেঁচড়া, শিক্ষকদের ক্লাস থেকে বের করে দেয়া। বিদ্যালয়ের আশপাশের দোকান থেকে মালামাল নিয়ে আসা, গালমন্দ করা, দোকানদারদের মারধর করা। এ সকল বিষয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ তার অভিবাভকদের সাথে বেশ কয়েকবার আলাপ- আলোচনা বৈঠক করা হলে ও তারা ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার অজুহাতে কালক্ষেপন করছেন।

তার অস্বাভাবিক এ আচরনে এ প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি , ৫০ জন শিক্ষক কর্মচারীর মানসন্মান আজ হুমকীর সমুক্ষীন।

গত ১৪ই মার্চ মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষাথী জান্নাতুল নাঈম নিঝুম, বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে অংশ নেয়, কিছুক্ষন পর তার চাচা এসে তাকে নিয়ে যায়। দুপুর ২ টায় এ শিক্ষার্থী তার শ্রেনীকক্ষের সামনে গিয়ে শিক্ষকের কাছে ক্লাসে ঢুকার অনুমতি চায়, শিক্ষক কাউছার আলম তাকে ক্লাসে ঢুকতে না দেয়ায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে গালমন্দ ও উদ্ভট আচরন করেন।

বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, ডা: মাহফুজুর রহমান কে জানানো হয়। সদস্যরা বিষয়টি তার অভিবাভককে জানানোর জন্য বললে, তার বাবা প্রবাসী হওয়ায় বিধায় তার মাকে বিষয়টি অবহিত করি, তার মা বলেন দয়া করে নিঝুমকে একটি সিএনজি যোগে পাঠিয়ে দেন, তার মা আরো জানায়, সে বাড়ী থেকে আসতে আমাকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে এসেছে। তার মায়ের অনুরোধে শিক্ষার্থী নিঝুমকে বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রাণীর মাধ্যমে বাড়ীতে পৌছানো হয়।

আয়া মায়া রাণীর ভাষ্যমতে, নিঝুমের মা নিঝুমকে ওই দিন বেদম মারধর করে। তিনি আরো জানান, তার মায়ের এ মারধরের ঘটনা একটি কুচক্রীমহল ভিন্নদিকে প্রবাহিত করে শিক্ষক কাউছার আলম ও মজিবুর রহমানের উপর দোষ ফেলছেন। শিক্ষকরা তাকে বেদম মারধর করেছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও করেছেন। সেই কুচক্রীমহল এ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে কিছু গনমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে নিউজ পোটার্ল ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করছেন। যাহা বানোয়াট ও কাল্পনিক বিষয় মাত্র।

তিনি বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও মানসিক বিকারগ্রস্থ অসুস্থ তার অস্বাভাবিক আচরনের কারনে গভর্নিং বর্ডির অধিবেশন নং ০৬/২৩ তাং ৩১/০১/২০২৩ ইং তাকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পএ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ১৬/০২/২৩ ইং অভিবাভকের নিকট নোটিশ প্রেরন করা হয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুব আলম জানান, মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন । তার বিষয়ে অনেক বৈঠক করা হয়েছে। তার অভিবাভকরা তাকে বারবার চিকিৎসার কথা বলে কোন সুরাহা করেননি। পরবর্তীতে আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ছাড়প্এ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডা: মাহফুজুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পএ দেয়া এ শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে নেমেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্রানপ্রিয় শিক্ষকরা অত্যান্ত সুনাম দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন, এ শিক্ষকদের চরিএ নিয়ে টালবাহানা করছেন। যাহা দু:খজনক পরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ।

এ বিষয়ে শিক্ষক কাউছার আলম জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকেই মানসিক বিকৃত নিঝুমের ক্লাস শিক্ষক আমি। প্রতিনিয়তই তার বেঁফাস প্রস্তাব, শিক্ষাথীদের সাথে গালমন্দ অসাদাচারন সবাই অতিষ্ঠ্য হয়ে পড়েছে। ১৪ই মার্চ দুপুরে সে শ্রেনীকক্ষের সামনে আসলে ক্লাসে ঢোকার অনুমতি না দেয়ায়, সে আমার সাথে অস্বাভাবিক আচরন করে, পরে আমি তাকে বাড়ী পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এ বিষয়টিকে একটি মহল তাকে মারধর করেছি মর্মে প্রচার করছে, যাহা মিথ্যা ভিওিহীন যড়যন্ত্রমূলক।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহী এ শিক্ষার্থী ক্লাসে না ঢুকতে পেরে গালমন্দ করলে, আমি বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রানীর মাধ্যমে তাকে বাড়ীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করি, এ ঘটনাকে আমি তাকে বেএাগাত করেছি বলে প্রচার করছে, যাহা মিথ্যা ও অপপ্রচার মাত্র।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীণ অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান বিএসসি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন এ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি অপপ্রচার করছে, তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। তিল তিল করে এ প্রতিষ্ঠান আজ এ অবস্থানে পৌছেছে, যারা এ প্রতিষ্ঠানের সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি করতে চায় তাদের কঠিন হস্তে প্রতিহত করা হবে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ও রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ডা: নিমাই চন্দ্র পাল জানান, এ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহন করি, অনুষ্ঠানে আসলে দেখতাম এ মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি স্টেজে উঠে যেত মাইক নিয়ে টানাটানি করতো, নিজে নিজে গান গাইতো, কবিতা বলতো, পরে শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে জানলাম মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাএছাএীদের সাথে তার অশোভন আচরন দীর্ঘদিনের বিষয়। এ বিষয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পএ দেয়া হয়েছে।
ক্যাপশন: শাহরাস্তির খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষার্থীর বিষয়ে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মো: মোশারফ হোসেন।