ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ নামে প্রতারণা, গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থেকে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ এর নাম ভাঙিয়ে গ্রাহকদের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ এর মতলব উত্তরের ছেংগারচর অফিসের ঠিকানা ছিল ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন, শিকিরচর।

Model Hospital

এদিকে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ নামে স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতারক চক্র এই প্রতিষ্ঠানের নাম, লোগো, হেড অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করেছে। প্রকৃত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদপুরের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, চাঁদপুরে তাদের কোনো ব্রাঞ্চ নেই। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

ব্র্র্যাক অফিস রোডের মোশারফ হোসেনের বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের অফিস ভাড়া নেন। সাইনবোর্ডও সাটানো হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে দুই জন পুরুষ ও এক নারী কর্মচারী বিভিন্ন গ্রামে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। তাদের কাছ থেকে টাকাও সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার ঋণ নেয়ার জন্য অফিসে গিয়ে গ্রাহকরা দেখের অফিসে তালা ঝুলছে। কর্মচারীদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রাহকরা অফিসে ভীর করে।

জানা যায়, এখানে মাত্র সাতদিনের জন্য অফিস ভাড়া করে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’-এর নামে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চক্রটি। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত সবাই গ্রাহকের টাকা আত্মাসাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। অফিসটিও এখন তালাবদ্ধ। যে ভবনে অফিস ভাড়া নিয়ে এনজিওর কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, সেই ভবনের মালিক গ্রাহকদের জানান, অফিস ছেড়ে দিয়ে এনজিও সংশ্লিষ্টরা কখন পালিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। হঠাৎ নামধারী ‘ওয়েব ফাউন্ডেশন’ উধাও হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।

প্রতারণার শিকার ছেংগারচর পৌরসভার দুলালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. নাইম, ওটারচর গ্রামের নূরে আলম, কাদির শিকদার, তালতলী গ্রামের কাদির শিকদার, তানিয়া বেগম, শেফালী, ফারুক ঢালী, কবিকর হোসেন ও আমেনা বলেন, ঋণ পাওয়ার আশায় আমরা এ বছরের ৯ মে ওই ফাউন্ডেশনের সদস্যভুক্ত হই। এনজিওর লোকজন আমাদের বলেছে ৫০ হাজার টাকা ঋণ পেতে হলে ৫ হাজার এবং ১ লাখ টাকা ঋণের জন্য ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো জমা দিয়েছি। কিন্তু ঋণ আনতে গিয়ে দেখি এনজিওটি উধাও হয়ে গেছে। তারা প্রতারক চক্রকে ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, এনজিওর প্রতারণার বিষয়টি এখনো কেউ আমাকে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

মতলব উত্তরে‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ নামে প্রতারণা, গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

আপডেট সময় : ১০:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থেকে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ এর নাম ভাঙিয়ে গ্রাহকদের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছে একটি প্রতারক চক্র। ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ এর মতলব উত্তরের ছেংগারচর অফিসের ঠিকানা ছিল ছেংগারচর বাজারের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন, শিকিরচর।

Model Hospital

এদিকে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’ নামে স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতারক চক্র এই প্রতিষ্ঠানের নাম, লোগো, হেড অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করেছে। প্রকৃত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদপুরের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, চাঁদপুরে তাদের কোনো ব্রাঞ্চ নেই। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।

ব্র্র্যাক অফিস রোডের মোশারফ হোসেনের বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের অফিস ভাড়া নেন। সাইনবোর্ডও সাটানো হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে দুই জন পুরুষ ও এক নারী কর্মচারী বিভিন্ন গ্রামে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। তাদের কাছ থেকে টাকাও সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার ঋণ নেয়ার জন্য অফিসে গিয়ে গ্রাহকরা দেখের অফিসে তালা ঝুলছে। কর্মচারীদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রাহকরা অফিসে ভীর করে।

জানা যায়, এখানে মাত্র সাতদিনের জন্য অফিস ভাড়া করে ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন’-এর নামে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চক্রটি। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত সবাই গ্রাহকের টাকা আত্মাসাৎ করে উধাও হয়ে গেছে। অফিসটিও এখন তালাবদ্ধ। যে ভবনে অফিস ভাড়া নিয়ে এনজিওর কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, সেই ভবনের মালিক গ্রাহকদের জানান, অফিস ছেড়ে দিয়ে এনজিও সংশ্লিষ্টরা কখন পালিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। হঠাৎ নামধারী ‘ওয়েব ফাউন্ডেশন’ উধাও হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।

প্রতারণার শিকার ছেংগারচর পৌরসভার দুলালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. নাইম, ওটারচর গ্রামের নূরে আলম, কাদির শিকদার, তালতলী গ্রামের কাদির শিকদার, তানিয়া বেগম, শেফালী, ফারুক ঢালী, কবিকর হোসেন ও আমেনা বলেন, ঋণ পাওয়ার আশায় আমরা এ বছরের ৯ মে ওই ফাউন্ডেশনের সদস্যভুক্ত হই। এনজিওর লোকজন আমাদের বলেছে ৫০ হাজার টাকা ঋণ পেতে হলে ৫ হাজার এবং ১ লাখ টাকা ঋণের জন্য ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো জমা দিয়েছি। কিন্তু ঋণ আনতে গিয়ে দেখি এনজিওটি উধাও হয়ে গেছে। তারা প্রতারক চক্রকে ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, এনজিওর প্রতারণার বিষয়টি এখনো কেউ আমাকে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।