চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া ঠাকুরবাড়ী এলাকায় পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রীসহ তিনজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহষ্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার পরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মহামায়া ঠাকুরবাড়ি এলাকায় পূর্ব দিক থেকে আসা মহামায়াগামী যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাঁদপুরগামী এসিআই কোম্পানীর পণ্য সরবরাহকারী (ঢাকা মেট্রো- ন ১৬- ৬৪৬২) নম্বরের পিকআপ ভ্যানটি পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ধুমরে মুচড়ে যায়। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা এলাকার বিনয় রায়ের কন্যা চাঁদপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এনি রায় কলেজে যাওয়ার জন্য সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন। পরে একটি অটো এনি রায়কে উঠাতে দাঁড় করান।
এসময় পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা চাঁদপুরগামী এসিআই কোম্পানীর একটি পিকআপ ভ্যান সামনের অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে এনি রায় নাক ও দাঁত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পায়। এসময় ঐ অটোতে থাকা সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল দেওয়ানের হাত ভেঙ্গে যায় এবং চোখের নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত পান। এছাড়াও অটো চালক মোঃ জুলহাস এর হাত ভাঙা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে।
উল্লেখ্য, উক্ত স্থানে গত ২৮মে প্রাইভেটকার চাপায় মায়া রানী নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের এই অংশটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে গতিরোধক না থাকায় সকল প্রকার যানবাহন খুব দ্রুত গতিতে চলাচল করে। ফলে এখানে প্রায় ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটে চলছে। তাই এখানে জরুরী ভিত্তিতে একটি গতিরোধ দেওয়ায় জন্য সড়ক বিভাগের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।