মতলব উত্তরে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সন্দেহে স্বামীকে আটক করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হানিরপার গ্রামে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এ বিষয়ে নিহতের পিতা দ্বীন ইসলাম থানায় একটি আত্মহত্যা প্রবঞ্চনার মামলা করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম হানিরপার গ্রামে নজরুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২২) এর সাথে উত্তর দশানী গ্রামের দ্বীন ইসলামের মেয়ে অনামিকা আক্তার মিম (১৯) এর সাথে প্রেম ছিল। ৮ মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ছিল।
শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে মীম ঘরের আরায় সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ স্বামী হৃদয়কে আটক করে।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা দ্বীন ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল। বিয়ের পর থেকেই মীমের স্বামী শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে মারপিট ও নির্যাতন করত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অনেক সহ্য করেছি। আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে মেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। নিরপেক্ষ তদন্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
নিহত মীমের স্বামী হৃদয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মীম কেন আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা।