ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চান্দিনায় ১১ জনকে কুপিয়ে পালাল ডাকাতদল

ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে বেশ কয়েকজন জখমের পর ডাকাত আতঙ্কে একটি রাত কাটিয়েছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শুহিলপুর ইউনিয়নের বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামবাসী।

Model Hospital

বুধবার (১৪ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্তচিৎকার শুনে ডাকাতদের ধাওয়া করতে এলে বেশ কয়েকজন রামদা ও ছুরির কোপে জখম হয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের ১১ জন নারী-পুরুষ। আহতরা হলেন—ওই গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০) তাঁর স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহর ছেলে রবিউল্লাহ্ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)।

তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহ আলম প্রধান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটায় পাকাবাড়ির পেছন দিকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতদল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরা ও মুখোশধারী ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪ হাজার টাকা, ১টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।

এ সময় পাশের ঘরের লোকজন টের পেলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা তখন চিৎকার শুরু করলে গ্রামের অন্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। কয়েকজন ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করলে সবাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

ওই গ্রামের শাহাদাতসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ‘আমরা কখনো এমন বর্বর ঘটনা দেখিনি।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

চান্দিনায় ১১ জনকে কুপিয়ে পালাল ডাকাতদল

আপডেট সময় : ০২:২০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে বেশ কয়েকজন জখমের পর ডাকাত আতঙ্কে একটি রাত কাটিয়েছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শুহিলপুর ইউনিয়নের বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামবাসী।

Model Hospital

বুধবার (১৪ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্তচিৎকার শুনে ডাকাতদের ধাওয়া করতে এলে বেশ কয়েকজন রামদা ও ছুরির কোপে জখম হয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের ১১ জন নারী-পুরুষ। আহতরা হলেন—ওই গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০) তাঁর স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহর ছেলে রবিউল্লাহ্ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)।

তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহ আলম প্রধান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটায় পাকাবাড়ির পেছন দিকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতদল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরা ও মুখোশধারী ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৪ হাজার টাকা, ১টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।

এ সময় পাশের ঘরের লোকজন টের পেলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা তখন চিৎকার শুরু করলে গ্রামের অন্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। কয়েকজন ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করলে সবাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

ওই গ্রামের শাহাদাতসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ‘আমরা কখনো এমন বর্বর ঘটনা দেখিনি।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’