কচুয়ার সাচারে সনাতন ধর্মালম্বীদের মহা শ্মশানঘাটের অন্তিম ধামে আধুনিক চুল্লি উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে জগন্নাথ ধাম মন্দিরের উত্তর পার্শ্বে বান্নীঘাটা এলাকায় এ মহা শ্মশানঘাটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পূজার দায়িত্বরত ছিলেন, সুজিৎ চক্রবর্তী, গৌতম গোস্বামী, হারাধন চক্রবর্তী, অপু চক্রবর্তী,সজল চক্রবর্তী।
শ্মশানঘাটের ঘাটের আধুনিক চুল্লির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুন্নাহার ভূইয়া, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাচার জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহা শ্মশানঘাটের সভাপতি আহ্বায়ক নিখিল চন্দ্র দাস, সদস্য সচিব রিপন সাহা, জগন্নাথ ধামের সাংস্কৃতিক সংঘের সহ-সভাপতি দীপক দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক বাসু দেব সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অরুন ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিৎ সাহা, জগন্নাথ ধামের রথযাত্রার উদযাপন কমিটির সভাপতি শুকদেব গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গোপ, কোষাধ্যক্ষ তপন চন্দ্র গোপ, জগন্নাথ ধাম মন্দির তত্ত্বাবধায়ক সুবল দাস, মহা শ্মশানঘাটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অরুন ঘোষ, প্রবন সুত্রধর ভূবণ পোদ্দার, নিতাই সাহা ভোলা ও গীতা সংঘের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
সাচার জগন্নাথ ধাম ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু ও বাসুদেব সাহা বলেন, সবাইকে একদিন এই ধরাধাম থেকে পরপারে চলে যেতে হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত ভালো কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখা। সাচারে বান্নীঘাটা এলাকায় মহা শ্মশানঘাটে আধুনিক চুল্লি উদ্বোধন নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ।
মহা শ্মশানঘাটের আহ্বায়ক নিখিল দাস ও সদস্য সচিব রিপন সাহা জানান, সকালে ঘট ভরা, শ্মশান কালী পূজা, শিব পূজা, চন্ডী পূজা ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তারা আরো জানায়, শ্মশান চত্বরে একটি কালি মন্দির নির্মাণ, শ্মশান চত্বরের পুকুর সংরক্ষণে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। শ্মশান চত্বরে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে, যেখানে শ্মশানের কার্যালয় ও পূজারি দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষা গৃহ থাকবে।
এ ছাড়া শ্মশান চত্বরে একটি প্রশস্ত নাটমন্দির নির্মাণ করা হবে।