ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে ইলিশ চড়া দামে বিক্রি, সাধারন ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে

ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম বেশী হওয়ায় স্বাদ গ্রহণ করতে পারেছেনা ইলিশ প্রেমীরা। যা’সাধারন ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

Model Hospital

দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি নেই। যে কারণে পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের আহরিত স্বল্প সংখ্যক রূপালী ইলিশ খুবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে মাছঘাটে গিয়ে দেখাগেল নিরবতা। আগের মত সরগরম নেই মাছঘাট। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার কিছু ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ বিক্রি করছেন। পাইকারী বিক্রির জন্য নেই কোন হাকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক আড়তে ব্যবসায়ী শ্রমিকরা অবসর বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির দুই বারের সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ হাজী সবেবরাত সরকার জানান, একটা সময় চাঁদপুরের পদ্মার ইলিশের সরগরম থাকত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না।

এতে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নদীতে যেই মাছগুলো ধরা পড়ছে সেগুলোর বেশিরভাগই আকারে ছোট ও মাঝারি। ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৮’শ থেকে ৯’শ গ্রাম ৮০ হাজার টাকা, ছোট সাইজ ৫০০ গ্রামের ইলিশের মণ
৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। তবে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ পুরোদমে আসা শুরু করলে তখন মৎস্য আড়ত জমে উঠবে। আর দামও নাগালের মধ্যে চলে আসবে।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে ইলিশ কমই পাওয়া যায়। আশা করছি এই সমস্যা সহসাই কেটে উঠবে।

যদিও আশানুরূপ ইলিশ এখনও জালে পাচ্ছেন না জেলেরা। তবে এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে চাঁদপুর মাঝঘাটের ব্যবসায়ী ও জেলেরা আশা করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

চাঁদপুরে ইলিশ চড়া দামে বিক্রি, সাধারন ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে

আপডেট সময় : ০৭:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম বেশী হওয়ায় স্বাদ গ্রহণ করতে পারেছেনা ইলিশ প্রেমীরা। যা’সাধারন ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

Model Hospital

দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি নেই। যে কারণে পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের আহরিত স্বল্প সংখ্যক রূপালী ইলিশ খুবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে মাছঘাটে গিয়ে দেখাগেল নিরবতা। আগের মত সরগরম নেই মাছঘাট। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার কিছু ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ বিক্রি করছেন। পাইকারী বিক্রির জন্য নেই কোন হাকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক আড়তে ব্যবসায়ী শ্রমিকরা অবসর বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির দুই বারের সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ হাজী সবেবরাত সরকার জানান, একটা সময় চাঁদপুরের পদ্মার ইলিশের সরগরম থাকত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না।

এতে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নদীতে যেই মাছগুলো ধরা পড়ছে সেগুলোর বেশিরভাগই আকারে ছোট ও মাঝারি। ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৮’শ থেকে ৯’শ গ্রাম ৮০ হাজার টাকা, ছোট সাইজ ৫০০ গ্রামের ইলিশের মণ
৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। তবে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ পুরোদমে আসা শুরু করলে তখন মৎস্য আড়ত জমে উঠবে। আর দামও নাগালের মধ্যে চলে আসবে।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে ইলিশ কমই পাওয়া যায়। আশা করছি এই সমস্যা সহসাই কেটে উঠবে।

যদিও আশানুরূপ ইলিশ এখনও জালে পাচ্ছেন না জেলেরা। তবে এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে চাঁদপুর মাঝঘাটের ব্যবসায়ী ও জেলেরা আশা করছেন।