চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়য়ার্ডস্থ বাবুরহাট মতলব রোডে যাত্রীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য চাঁদপুর হাইমচর-৩ নির্বাচনী এলাকার এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির থোক তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু টেন্ডারের দেড় বছর পার হয়ে গেলে ও আজও নির্মাণ হয়নি বাবুরহাটের জনগুরুত্বপূর্ণ সে গণশৌচাগারটি।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
চাঁদপুরের ট্রানজিট নামে খ্যাত বাবুরহাট মতলব রোড দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক যাত্রী চলাফেরা করে। রাজধানী ঢাকার সাথে দূরত্ব কমানোর জন্য চাঁদপুরের আশপাশ কয়টি জেলা বাবুরহাট-মতলব পেন্নাই সড়কটি ব্যবহার করে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ন এস্থানে কোন গণশৌচাগার না থাকায় নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। চাঁদপুর পৌরসভা ১৪ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলর এর আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর পৌর মেয়রের অনুরোধে শিক্ষামন্ত্রীর থোক তহবিল থেকে চাঁদপুর পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় ৫২ লক্ষ টাকার ব্যায়ে ৪টি গনসৌচাগার স্থাপনের জন্য চাঁদপুর জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার প্রদান করা হয়। তন্মোধ্যে বাবুরহাটের মতলব রোডের ১টি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার গ্রহন করে দীর্ঘ প্রায় দের বছরে কাজ শুরু করেন নি বলে জানা যায়। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের থোক তহবিল থেকে কাজটি প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার স্থান জনিত জটিলতার কারনে কাজটি করতে বিলম্ব হয় বলে আমাকে জানানো হয়। বর্ষার কারনে এ বছরও কাজটি করা সম্ভব হবে না।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম নয়ন মিজি জানান, ১৪নং ওয়ার্ডবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়র মহোদয়ের অনুরোধে শিক্ষামন্ত্রী তহবিল থেকে গত দেড় বছর পূর্বে বাবুরহাট মতলব রোডে গণসৌচাগার স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এটি স্থাপনের জন্য মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মতলব রোডে কসাইখানা সংলগ্ন সড়ক ও জনপদের জায়গায় স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নিজের খাম খেয়ালীমত মেয়র মহোদয়কে অবগত না করে ১৪নং ওয়ার্ডের গরুজবাইয়ের স্থানটি ভেঙে সেখানে গণসৌচাগার নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়।
গরু জবাইয়ের স্থানটি কিছু অংশ ভাঙ্গা হলে সেখান থেকে কয়েকজন আমাকে ফোন করে অবগত করলে আমি মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করি ও গরু জবাইয়ের স্থানটি না ভাঙ্গার জন্য অনুরোধ করি। পরবর্তীতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে গরু জবাই স্থান সংলগ্ন স্থানে গণসৌচাগার স্থাপনের জন্য পুনরায় স্থান নির্ধারণ করে স্থানীয় ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক, যুগ্মআহ্বায়ক ও ঠিকাদারসহ লেআউট প্রদান করি।
এদিকে বাবুরহাট গরুজবাইয়ের স্থানটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় এবং পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় সেখানে গরু জবাই করা যাচ্ছে না বলে জানা যায়। ফলে বাজারের মধ্যেই কয়েকজন গরু জবাই করে থাকেন। যার ফলে বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গুলো কয়েকদিন পর পর বন্ধ হয়ে গিয়ে ও মারাত্মক দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান স্থানটি সংস্কারসহ বড় করার জন্য ইতিমধ্যেই মেয়র মহোদয়কে জানানো হয়েছে, তা অতি শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।