ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর শহরে আইপিএস এর ব্যবসার নামে চলছে প্রতারনা

চাঁদপুর শহরে চিত্রলেখার পশ্চিমে নিলুফা ভ্রবনের (হোল্ডিং নং ১১১৬) দ্বিতীয় তলায় নিজ বাস ভ্রবন থেকে আইপি এস এর ব্যবসার নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান কথিত আইপিএস মিউজিয়াম এর স্বত্বাধিকারী সোহেব মোঃ কলিম।

Model Hospital

নামি দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার ব্যাটারি ও মেশিনের গায়ে লাগিয়ে সোহেব মোঃ কলিম অধিক মুনাফায় গ্রাহকের নিকট আইপিএস বিক্রি করে। বিক্রিকালীন সময় অস্তিত্ব বিহীন আইপিএস মিউজিয়াম নামে একটি ক্যাশ মেমোর মাঝে মেশিন ও ব্যাটারির বিভিন্ন মেয়াদের গ্যারান্টি লিখে দেন। এরপর শুরু হয় তার আসল প্রতারনা। গ্যারান্টি দেওয়া মেশিন ও ব্যাটারির সমস্যা দেখে দিলে সার্ভিসিং এর নাম করে গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে তা নিয়ে আসে। সাভিসিং করে আইপিএস টি ঠিক করা হলে নামিদামি ব্র্যান্ডের স্টিকার ব্যবহার করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন এই প্রতারক।

একই আইপিএস এর মেশিন ও ব্যাটারি বিক্রি করেন বহু গ্রাহকের কাছে। সাভিসিং এর নাম করে আর ফিরে দেওয়া হয় না ভুক্তভোগী’র আইপিএস। গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে মহিলাদের সাথে অনৈতিক প্রস্তাব ও ভাজে দৃষ্টিতে তাকানো তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আইপিএস ক্রয়করা মতলব দক্ষিণ’র এক ভুক্তভোগীর স্ত্রী আখি জানান আমি ও আমার স্বামী আমাদের বাসার জন্য সোহেব মোঃ কলিম এর নিকট থেকে ১১/৯/২০২২ তারিখে ৩৫০০০/ টাকা দিয়ে একটি আইপিএস ক্রয় করি। ১২০০ ভি এ আইপিএস এর মিশিন গ্যারান্টি পাঁচ বছর, ব্যাটারী গ্যারান্টি দুই বছর ছিল। আইপিএস টি কিছু দিন ব্যবহার করার পর তা সমস্যা দেখা দিলে সোহেব মোঃ কলিম কে জানানে সে আমাদের বাসায় আসে। বাসায় আমার ছেলের সামনে আমাকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয় ও আজেবাজে কথা বলে। আইপিএস সাভিসিং এর নাম করে মিশিন ও ব্যাটারী নিয়ে গেলে দেই দিচ্ছি করে কমপক্ষে একশো তারিখ দিয়েও আর দেয় না। পরে আমি ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ে ১৬ জুলাই লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ২৩ জুলাই বিকালে সে নিম্নমানের ৭০০ ভিএ ব্যাটারী আমার বাসায় নিয়ে আসে, আমি এটি ফেরত দিয়ে আমার ক্রয়কৃত ব্যাটারী ও মিশিন চাই। এই সময় সে আমার বাসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ভোক্তা অধিদপ্তর নাকি তার কিছুই করতে পারবে না। পরের দিন ২৪ জুলাই সে ভোক্তা অধিদপ্তর এর শুনানিতে যাবেনা বলে। এখন সে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করতেছে ভুক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ তুলে নিতে।

এই দিকে ভোক্তভোগী আখি ছাড়াও আরো ২ জন ভুক্তভোগী ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। নিলুফা ভ্রবনের নিচ তলায় স্বর্ণকারের দোকানদার সহ মহল্লার মানুষ জানান সোহেব মোঃ কলিম এক জন প্রতারক। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় থেকে আই পিএস এর গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে আসে। সে কাউকে তোয়াক্কা করে না। সে হাজার হাজার মানুষ এর সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে। প্রতারনার টাকা দিয়ে সে নারীদের সাথে আমোদ ফুর্তি করে বলে জানান।

এই দিকে সোহেব মোঃ কলিম এর ছেলে জানান আব্বুর এই কর্মকান্ডের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ অভিযোগ নিয়ে আমাদের বাসায় আসে। যা রীতিমতো আমাদের জন্য অপমান জনক। আব্বু টাকা দিয়ে কি করে জানি না,বাসায়ও ঠিক মত থাকে না। এদিকে কলেজেও আমার অনেক টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

চাঁদপুর শহরে আইপিএস এর ব্যবসার নামে চলছে প্রতারনা

আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

চাঁদপুর শহরে চিত্রলেখার পশ্চিমে নিলুফা ভ্রবনের (হোল্ডিং নং ১১১৬) দ্বিতীয় তলায় নিজ বাস ভ্রবন থেকে আইপি এস এর ব্যবসার নামে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান কথিত আইপিএস মিউজিয়াম এর স্বত্বাধিকারী সোহেব মোঃ কলিম।

Model Hospital

নামি দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার ব্যাটারি ও মেশিনের গায়ে লাগিয়ে সোহেব মোঃ কলিম অধিক মুনাফায় গ্রাহকের নিকট আইপিএস বিক্রি করে। বিক্রিকালীন সময় অস্তিত্ব বিহীন আইপিএস মিউজিয়াম নামে একটি ক্যাশ মেমোর মাঝে মেশিন ও ব্যাটারির বিভিন্ন মেয়াদের গ্যারান্টি লিখে দেন। এরপর শুরু হয় তার আসল প্রতারনা। গ্যারান্টি দেওয়া মেশিন ও ব্যাটারির সমস্যা দেখে দিলে সার্ভিসিং এর নাম করে গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে তা নিয়ে আসে। সাভিসিং করে আইপিএস টি ঠিক করা হলে নামিদামি ব্র্যান্ডের স্টিকার ব্যবহার করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন এই প্রতারক।

একই আইপিএস এর মেশিন ও ব্যাটারি বিক্রি করেন বহু গ্রাহকের কাছে। সাভিসিং এর নাম করে আর ফিরে দেওয়া হয় না ভুক্তভোগী’র আইপিএস। গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে মহিলাদের সাথে অনৈতিক প্রস্তাব ও ভাজে দৃষ্টিতে তাকানো তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আইপিএস ক্রয়করা মতলব দক্ষিণ’র এক ভুক্তভোগীর স্ত্রী আখি জানান আমি ও আমার স্বামী আমাদের বাসার জন্য সোহেব মোঃ কলিম এর নিকট থেকে ১১/৯/২০২২ তারিখে ৩৫০০০/ টাকা দিয়ে একটি আইপিএস ক্রয় করি। ১২০০ ভি এ আইপিএস এর মিশিন গ্যারান্টি পাঁচ বছর, ব্যাটারী গ্যারান্টি দুই বছর ছিল। আইপিএস টি কিছু দিন ব্যবহার করার পর তা সমস্যা দেখা দিলে সোহেব মোঃ কলিম কে জানানে সে আমাদের বাসায় আসে। বাসায় আমার ছেলের সামনে আমাকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয় ও আজেবাজে কথা বলে। আইপিএস সাভিসিং এর নাম করে মিশিন ও ব্যাটারী নিয়ে গেলে দেই দিচ্ছি করে কমপক্ষে একশো তারিখ দিয়েও আর দেয় না। পরে আমি ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ে ১৬ জুলাই লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ২৩ জুলাই বিকালে সে নিম্নমানের ৭০০ ভিএ ব্যাটারী আমার বাসায় নিয়ে আসে, আমি এটি ফেরত দিয়ে আমার ক্রয়কৃত ব্যাটারী ও মিশিন চাই। এই সময় সে আমার বাসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। ভোক্তা অধিদপ্তর নাকি তার কিছুই করতে পারবে না। পরের দিন ২৪ জুলাই সে ভোক্তা অধিদপ্তর এর শুনানিতে যাবেনা বলে। এখন সে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করতেছে ভুক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ তুলে নিতে।

এই দিকে ভোক্তভোগী আখি ছাড়াও আরো ২ জন ভুক্তভোগী ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। নিলুফা ভ্রবনের নিচ তলায় স্বর্ণকারের দোকানদার সহ মহল্লার মানুষ জানান সোহেব মোঃ কলিম এক জন প্রতারক। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় থেকে আই পিএস এর গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে আসে। সে কাউকে তোয়াক্কা করে না। সে হাজার হাজার মানুষ এর সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে। প্রতারনার টাকা দিয়ে সে নারীদের সাথে আমোদ ফুর্তি করে বলে জানান।

এই দিকে সোহেব মোঃ কলিম এর ছেলে জানান আব্বুর এই কর্মকান্ডের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ অভিযোগ নিয়ে আমাদের বাসায় আসে। যা রীতিমতো আমাদের জন্য অপমান জনক। আব্বু টাকা দিয়ে কি করে জানি না,বাসায়ও ঠিক মত থাকে না। এদিকে কলেজেও আমার অনেক টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।