ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে বাবাকে হত্যার দায়ে পুত্রের যাবজ্জীবন দণ্ড

শাহরাস্তিতে চেরাগ আলী ৭৫ নামে এক পিতাকে  হত্যার দায়ে পুত্র  ইমরান হোসেন আকবরকে ৪০ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত।

Model Hospital

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যার শিকার চেরাগ আলী উপজেলায় সেতিনারায়নপুর গ্রামের চেরাগ আলী বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের পুত্র এবং দন্ডপ্রাপ্ত ঘাতক ইমরান তারই ঔরসজাত সন্তান ।

বুধবার  চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হকের আদালত এ রায় দেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইমরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।

মামলার বিবরণে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ইমরান  তার পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে বখাটে  এবং উচ্ছৃংখল হিসেবে পরিচিত ছিল।সে তার স্ত্রী ও সন্তানকে কারনে অকারনে প্রায়ই মারধর করত। ২০১৭ সালে ওই নির্যাতন সইতে না পেরে তার  স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়।

এদিকে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার পিতা চেরাগ আলীর  মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ওই কাণ্ডে মা ফুলমতি বেগম স্বামী চেরাগ আলীকে আপ্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে শত চেষ্টা চালালেও পুত্র ইমরান তাকেও বেদম প্রহার করে আহত করে।

পরে স্থানীয়রা ফুলমতি কে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন। ওই সংবাদ চারদিকে চাউর হলে তৎকালীন শাহরাস্তি থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট পুলিশ  কর্মকর্তা সঙ্গীও ফোর্স  চেরাগ আলীর মরদেহ  উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ওই সুযোগে ঘাতক ইমরান কেটে পড়ে। পরে তার ছোট ভাই  সোলায়মান বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ভাই ইমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামী ইমরানকে ধৃত করে আদালতে সোপর্দ শেষে ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

এ প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, এ মামলাটি  চলার সময়  আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে আদালত  এ রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তিতে বাবাকে হত্যার দায়ে পুত্রের যাবজ্জীবন দণ্ড

আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

শাহরাস্তিতে চেরাগ আলী ৭৫ নামে এক পিতাকে  হত্যার দায়ে পুত্র  ইমরান হোসেন আকবরকে ৪০ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত।

Model Hospital

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যার শিকার চেরাগ আলী উপজেলায় সেতিনারায়নপুর গ্রামের চেরাগ আলী বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের পুত্র এবং দন্ডপ্রাপ্ত ঘাতক ইমরান তারই ঔরসজাত সন্তান ।

বুধবার  চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হকের আদালত এ রায় দেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইমরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।

মামলার বিবরণে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ইমরান  তার পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে বখাটে  এবং উচ্ছৃংখল হিসেবে পরিচিত ছিল।সে তার স্ত্রী ও সন্তানকে কারনে অকারনে প্রায়ই মারধর করত। ২০১৭ সালে ওই নির্যাতন সইতে না পেরে তার  স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়।

এদিকে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার পিতা চেরাগ আলীর  মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ওই কাণ্ডে মা ফুলমতি বেগম স্বামী চেরাগ আলীকে আপ্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে শত চেষ্টা চালালেও পুত্র ইমরান তাকেও বেদম প্রহার করে আহত করে।

পরে স্থানীয়রা ফুলমতি কে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন। ওই সংবাদ চারদিকে চাউর হলে তৎকালীন শাহরাস্তি থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট পুলিশ  কর্মকর্তা সঙ্গীও ফোর্স  চেরাগ আলীর মরদেহ  উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ওই সুযোগে ঘাতক ইমরান কেটে পড়ে। পরে তার ছোট ভাই  সোলায়মান বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ভাই ইমরানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামী ইমরানকে ধৃত করে আদালতে সোপর্দ শেষে ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

এ প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, এ মামলাটি  চলার সময়  আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে আদালত  এ রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।