ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

Model Hospital

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুলবারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল ও চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার স্থান ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পৌর শহরের লামার চিরিংগা এলাকার মামা-ভাগিনার মাজারে কয়েক হাজার মানুষ গায়েবানা জানাজার জন্য জড়ো হন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে গেলে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জানাজা পণ্ড হলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে। একই সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পৌর শহরের বাইতুশ শরফ রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ না করায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনিসহ ৬ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট সময় : ১০:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

Model Hospital

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুলবারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল ও চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার স্থান ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পৌর শহরের লামার চিরিংগা এলাকার মামা-ভাগিনার মাজারে কয়েক হাজার মানুষ গায়েবানা জানাজার জন্য জড়ো হন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে গেলে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জানাজা পণ্ড হলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে। একই সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পৌর শহরের বাইতুশ শরফ রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ না করায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনিসহ ৬ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।’