ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে একরাতে সিঁদকেটে ৪ ঘরে চুরি : স্বপন চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী

শাহরাস্তি পৌরসভাধীন পশ্চিম উপলতা গ্রামে একরাতে ৪টি ঘরে সিঁদকেটে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এ এলাকায় স্থানীয় স্বপন চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসি বৈঠক করেও স্বপন চোরকে সংশোধন করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৮ অক্টোবর বুধবার পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উপলতা নশাগাজী ফকির বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বসত ঘরে রাত ৩টার দিকে সিঁদকেটে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ চোরের দল। এ সময় চোরের দল প্রবাসীর ঘরে রক্ষিত আলমিরা থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রবাসী আনোয়ার হোসেন তার বাড়ীতে বিল্ডিং তৈরী করার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে এনে রেখেছিলেন বলে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান।
তিনি বলেন, তার ঘরে কোন পুরুষ না থাকায় চোরের দল সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে এ সর্বনাশ করেছে। ঘরে তার বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগম (৬০) ও তার ৪ কন্যা আফরোজা আক্তার তাহমিনা, আফসানা আক্তার সীমা, আইরিন আক্তার রিয়া ও আনজুম আক্তার নিমা সহ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তারা চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করলে চোরের দল দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন চোরের দল রশি দিয়ে ঘরের দরজায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ঘরের দরজায় রশি দিয়ে দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। কেউ যেন ঘর থেকে বের হয়ে কেউ  তাদের সহযোগিতা করতে না পারে।
তিনি জোর গলায় বলেন, এ চুরির ঘটনা পার্শ্ববর্তী নাজির আহম্মেদ এর ছেলে স্বপন চোরের কাজ। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও মা রাবেয়া বেগম।
এছাড়াও একইদিন চোরের দল ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারেছ আহম্মেদ, একই গ্রামের সোলেমান ও দেলোয়ার হোসেনের ঘরে সিঁদকেটে চুরির ঘটনা ঘটায়। এ সময় তাদের ঘর থেকে  মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
পশ্চিম উপলতা গ্রামের মো: বিল্লাল হোসেন, মো: কামরুল হাসান, মো: রুহুল আমিন, কামাল হোসেন, মারফ হেসেন, মোশারফ হোসেন মোবারক হোসেন ও আবদুল হান্নান জানান, এ গ্রামে স্বপন চোরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। বেশ কয়েকবার আমরা শালিসি বৈঠক করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল । সে কোনদিন চুরি করবেনা মর্মে অঙ্গীকার করলেও সংশোধন হয়নি।
প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বিল্ডিং নির্মাণ করবে বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিল, সে টাকাও চুরি হয়ে গেল।
বিষয়টি আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করেছি। সন্ধ্যায় আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে  পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উক্ত এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা স্থানীয় গ্রামবাসী উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তিতে একরাতে সিঁদকেটে ৪ ঘরে চুরি : স্বপন চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী

আপডেট সময় : ০৯:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
শাহরাস্তি পৌরসভাধীন পশ্চিম উপলতা গ্রামে একরাতে ৪টি ঘরে সিঁদকেটে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এ এলাকায় স্থানীয় স্বপন চোরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসি বৈঠক করেও স্বপন চোরকে সংশোধন করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৮ অক্টোবর বুধবার পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উপলতা নশাগাজী ফকির বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বসত ঘরে রাত ৩টার দিকে সিঁদকেটে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ চোরের দল। এ সময় চোরের দল প্রবাসীর ঘরে রক্ষিত আলমিরা থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রবাসী আনোয়ার হোসেন তার বাড়ীতে বিল্ডিং তৈরী করার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে এনে রেখেছিলেন বলে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান।
তিনি বলেন, তার ঘরে কোন পুরুষ না থাকায় চোরের দল সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে এ সর্বনাশ করেছে। ঘরে তার বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগম (৬০) ও তার ৪ কন্যা আফরোজা আক্তার তাহমিনা, আফসানা আক্তার সীমা, আইরিন আক্তার রিয়া ও আনজুম আক্তার নিমা সহ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তারা চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করলে চোরের দল দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন চোরের দল রশি দিয়ে ঘরের দরজায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ঘরের দরজায় রশি দিয়ে দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। কেউ যেন ঘর থেকে বের হয়ে কেউ  তাদের সহযোগিতা করতে না পারে।
তিনি জোর গলায় বলেন, এ চুরির ঘটনা পার্শ্ববর্তী নাজির আহম্মেদ এর ছেলে স্বপন চোরের কাজ। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও মা রাবেয়া বেগম।
এছাড়াও একইদিন চোরের দল ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারেছ আহম্মেদ, একই গ্রামের সোলেমান ও দেলোয়ার হোসেনের ঘরে সিঁদকেটে চুরির ঘটনা ঘটায়। এ সময় তাদের ঘর থেকে  মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
পশ্চিম উপলতা গ্রামের মো: বিল্লাল হোসেন, মো: কামরুল হাসান, মো: রুহুল আমিন, কামাল হোসেন, মারফ হেসেন, মোশারফ হোসেন মোবারক হোসেন ও আবদুল হান্নান জানান, এ গ্রামে স্বপন চোরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। বেশ কয়েকবার আমরা শালিসি বৈঠক করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল । সে কোনদিন চুরি করবেনা মর্মে অঙ্গীকার করলেও সংশোধন হয়নি।
প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বিল্ডিং নির্মাণ করবে বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিল, সে টাকাও চুরি হয়ে গেল।
বিষয়টি আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করেছি। সন্ধ্যায় আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে  পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উক্ত এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা স্থানীয় গ্রামবাসী উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।