ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কচুয়াবাসী

শীতের প্রকোপ বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ শিশু ও বৃদ্ধরা। অতিরিক্ত শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো কচুয়াবাসী। পৌষ ও মাঘ দু’মাস শীতকাল। পৌষ মাস শেষ হতে আর মাত্র দু’দিন বাকি। পুরো মাঘ মাসও রয়ে গেছে, শীতের তীব্রতা দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা জাগাচ্ছে। হঠাৎ কনকনে শীত অনুভব হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুভোর্গ পড়েছে ছিন্নমূল, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ।

Model Hospital

খর কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়- শিশু ও বৃদ্ধ পুরুষ- মহিলা খর গাছের ঢাল পাতা পুড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছে।

বয়বৃদ্ধ অলি উল্যাহ, জমির উদ্দিন ও জিসান আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়- কয়েকদিন ধরে শীত বাড়ায় ও ঘন কুয়াশার সাথে বাতাস থাকায় শীরের হাড় কাপনি দিয়ে উঠে, তাই আগুন জ¦ালিয়ে শরীর গরম করছি।

চায়ের দোকানদার শহীদ মিয়া জানান- শীত বাড়ায় লোকজন ঘর থেকে বের হতে চায় না, তাই বেঁচা কেনাও কম। আগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। আজ ৩ -৪ দিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার টাকা বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছি।

দিনমজুর গৌতম সরকার জানান- গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত শীত পরার কারনে জ¦র-সর্দি ও কাশি হয়েছে। কাজ কাম করতে পারছি না। এমনিতে কাজ কাম নেই। বৌ-পোলাপান নিয়ে কিভাবে সংসার চলবো সেই চিন্তায় আছি। ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে ঔষধ কিনে এনেছি।

কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারনে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি সবজি মাঠের ফসল ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। পোকার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। সনকার্তিক জমি বর্গা নিয়েছি।

ধানের চারা মরে গেলে কিভাবে ধান চাষ করবো খুব চিন্তায় আছি। কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে সূর্য্যরে মুখ দেখা যাচ্ছে না। শীত পড়ার কারনে ঘরের ছেলে মেয়েদের জ¦র ও সর্দি, কি করবো ভেবে চিন্তায় পাড়ছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখাযায়, শীত বাড়ার কারনে শিশুরাই বেশি বিপাকে পড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত কারনে তাদের শ^াস কষ্ট, জ¦র, রোগীর সংখ্যাই বেশি। তার পাশাপাশি বয়বৃদ্ধরা শ্বাস জনিত কারনে হাসপাতালে আসছে চিকিৎসা নিচ্ছে।

উপজেলা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. সোহেল রানা জানান, হঠাৎ করে শৈতপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বয়বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছে। হাসপাতালে আশা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা দিয়ে নেবুলাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ, শীতের ভারী পোশাক পরিধান ও প্রয়োজন ছাড়া ঠাণ্ডায় ঘর থেকে না বাহির হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে ধানের চারা নষ্ট না হওয়ার প্রতিরোধে প্রতিদিন সকালে চারার উপর লাঠি অথবা দড়ি টেনে কুয়াশা সরিয়ে দিতে হবে। তার পাশাপাশি জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। একদিন পরপর সে পানি সরিয়ে ফেলে নতুন পানি দিতে হবে। এবং ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কচুয়াবাসী

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

শীতের প্রকোপ বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ শিশু ও বৃদ্ধরা। অতিরিক্ত শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো কচুয়াবাসী। পৌষ ও মাঘ দু’মাস শীতকাল। পৌষ মাস শেষ হতে আর মাত্র দু’দিন বাকি। পুরো মাঘ মাসও রয়ে গেছে, শীতের তীব্রতা দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা জাগাচ্ছে। হঠাৎ কনকনে শীত অনুভব হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুভোর্গ পড়েছে ছিন্নমূল, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ।

Model Hospital

খর কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়- শিশু ও বৃদ্ধ পুরুষ- মহিলা খর গাছের ঢাল পাতা পুড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছে।

বয়বৃদ্ধ অলি উল্যাহ, জমির উদ্দিন ও জিসান আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়- কয়েকদিন ধরে শীত বাড়ায় ও ঘন কুয়াশার সাথে বাতাস থাকায় শীরের হাড় কাপনি দিয়ে উঠে, তাই আগুন জ¦ালিয়ে শরীর গরম করছি।

চায়ের দোকানদার শহীদ মিয়া জানান- শীত বাড়ায় লোকজন ঘর থেকে বের হতে চায় না, তাই বেঁচা কেনাও কম। আগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। আজ ৩ -৪ দিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার টাকা বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছি।

দিনমজুর গৌতম সরকার জানান- গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত শীত পরার কারনে জ¦র-সর্দি ও কাশি হয়েছে। কাজ কাম করতে পারছি না। এমনিতে কাজ কাম নেই। বৌ-পোলাপান নিয়ে কিভাবে সংসার চলবো সেই চিন্তায় আছি। ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে ঔষধ কিনে এনেছি।

কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারনে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি সবজি মাঠের ফসল ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। পোকার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। সনকার্তিক জমি বর্গা নিয়েছি।

ধানের চারা মরে গেলে কিভাবে ধান চাষ করবো খুব চিন্তায় আছি। কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে সূর্য্যরে মুখ দেখা যাচ্ছে না। শীত পড়ার কারনে ঘরের ছেলে মেয়েদের জ¦র ও সর্দি, কি করবো ভেবে চিন্তায় পাড়ছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখাযায়, শীত বাড়ার কারনে শিশুরাই বেশি বিপাকে পড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত কারনে তাদের শ^াস কষ্ট, জ¦র, রোগীর সংখ্যাই বেশি। তার পাশাপাশি বয়বৃদ্ধরা শ্বাস জনিত কারনে হাসপাতালে আসছে চিকিৎসা নিচ্ছে।

উপজেলা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. সোহেল রানা জানান, হঠাৎ করে শৈতপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বয়বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছে। হাসপাতালে আশা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা দিয়ে নেবুলাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ, শীতের ভারী পোশাক পরিধান ও প্রয়োজন ছাড়া ঠাণ্ডায় ঘর থেকে না বাহির হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেজবাহউদ্দিন জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে ধানের চারা নষ্ট না হওয়ার প্রতিরোধে প্রতিদিন সকালে চারার উপর লাঠি অথবা দড়ি টেনে কুয়াশা সরিয়ে দিতে হবে। তার পাশাপাশি জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। একদিন পরপর সে পানি সরিয়ে ফেলে নতুন পানি দিতে হবে। এবং ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।