চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নকল সরবরাহের দায়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলামের (৫৩) দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রামমাণ আদালত।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
রোববার (৩-মার্চ) শাহরাস্তি পৌর এলাকার শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারি গাড়ি দূরে রেখে হেঁটে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া এবং কিছু শিক্ষক ছোটাছুটি শুরু করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্রে অনিয়ম/নকলের বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করেন। পরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে অসংখ্য হাতে লিখে সমাধান করা প্রশ্নের উত্তর পান।
ধারণা করা হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষকদের ইঙ্গিতে পরীক্ষার্থীরা নকল জানালা দিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ফেলে দিয়েছিল।
পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম(৫৩)। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫-৩০ কপি হাতে লিখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন। মোবাইল ফোনের বিষয় জানতে চাইলে বাসায় তিনি মোবাইল ফোন রেখে এসেছেন বলে জানান। কিন্তু তার নম্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফোন করলে পাশের ব্যাগের মধ্যে মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে।
মোবাইল ফোনে প্যাটার্ন লক ছিল, তাকে প্যাটার্ণ লকটি খুলতে বললে তিনি তাৎক্ষণাৎ মোবাইল থেকে কিছু একটা ডিলিট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের বাইরে উদ্ধারকৃত হাতে লেখা নকলের হুবহু ছবি পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, তিনি দোষ স্বীকার করায় পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৯(ক) ধারা মোতাবেক রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: ছায়েদুল ইসলাম(৫৩)কে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।