কচুয়ায় আম গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে হামলায় রাশিদা বেগম তার মেয়ে ফাতেমা বেগম গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চাংগিনী গ্রামের চাঁন মিয়া মেম্বার বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় রাশিদা বেগমের স্বামী আব্দুল আলী বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের উল্লেখিত ১নং বিবাদী আব্দুল বারেককে পুলিশ আটক করে কচুয়া থানা নিয়ে আসে।
আব্দুল আলীর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বাদীর বসত ঘরের চালের উপর আমার বাদীর বড় ভাই মমিন আলীর আম গাছের ডাল-পালা থাকায় ঘরের চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মমিন আলীকে চালের উপর থাকা গাছের ডাল-পালা কেঁটে নিতে বললে বৃহস্পতিবার সকালে মমিন আলী ও তার ছেলে বারেকসহ দলবল নিয়ে বাদীর স্ত্রী রাশিদা বেগম ও মেয়ে ফাতেমা আক্তারের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
এসময় লোহার এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আব্দুল আলীর স্ত্রীর মাথায় রক্তাক্ত জখম করে ও হাত ভেঙ্গে পেলে এবং মেয়ে ফাতেমা তার মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।
আহতদের ডাক চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ছুটে আসলে মমিন আলী তার দলবল নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। রাশিদা বেগম ও ফাতেমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মা-মেয়ের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মমিনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফজিলত বেগম জানান, আমার জা রাশিদা বেগম তার ঘরের চালের উপর থাকা গাছের ডাল-পালা কেঁটে নিতে বললে তাকে ও তার মেয়েকে এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেন।
কচুয়া থানার (ওসি) মো.মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার চাংগিনীর গ্রামের আব্দুল আলীমের স্ত্রী ও মেয়ের উপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি।
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।