স্টাফ রিপোর্টার : কচুয়ার বিতারা গ্রামের জমির উদ্দিন বাড়ীর জহিরুল ইসলামের (৩২) উপর হামলা চালিয়ে কূপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। জহিরুল ইসলাম বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক। পূর্ব পরিকল্পনায় এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জহিরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তার পিতা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ উল্লেখ করা হয়- কয়েকদিন পূর্বে জনৈক আঃ মালেকের জমিতে আলু রোপন করার সময় পাশের বাড়ীর ইসমাইল ও নাজমুলের সাথে তর্ক-বিতর্ক ও কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জোর ধরে জহিরুল ইসলামের উপর এ হামলা চালানো হয়। আঃ জলিলের মেজো ছেলে তাজুল সৌদি প্রবাসী। তার স্ত্রী খাদিজা বেগম রাগদৈল গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস করে। তাজুল ইসলাম বিদেশ যেতে ধার নেওয়া টাকা পরিশোধের জন্য খাদিজা বেগমের নিকট ৫০ হাজার টাকা পাঠায়।
২৯ ডিসেম্বর খাদিজার কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে জহিরুল ইসলাম বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ীর কাছাকাছি এসে পৌছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইসমাইল ও নাজমুল এর নেতৃত্বে কথিপয় যুবক জহিরুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালা। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র- সস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে তারা জহিরুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এমনি অবস্থায় জহিরুল ইসলামের ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ঘটনার স্থলে ছুটে এসে জহিরুল ইসলামকে হামলা কারীদের কবল থেকে রক্ষা করে। হামলা কারীরা জহিরুল ইসলামের সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগের পেক্ষিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত কচুয়া থানার এসআই আরিফ জানান- অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কার্যাক্রম অব্যাহত রয়েছ।