ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইফতার ও সেহরীর সময় লোডশেডিংয়ে বিরক্ত স্থানীয়রা

শাহরাস্তিতে যখন তখন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনগণ

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টাই লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ও রাতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা।
একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় প্রতিনিয়ত লোডশেডিং হচ্ছে। ইফতারী, সেহরী এমনকি তারাবীর নামাজের সময় লোডশেডিংয়ে বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌরসভার বাসিন্দা নিলুফা বেগম বলেন, ‘দিনে অর্ধেক সময় এবং রাতেও সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসেও অসহনীয় লোডশেডিংয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’
কালীবাড়ি বাজার ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, ‘দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুত থাকছে সর্বোচ্চ তিন-চার ঘণ্টা। ঈদের সময় আমাদের বেচা বিক্রির মুহূর্তে এরকম লোডশেডিং সত্যিই মেনে নেয়ার মতো না। এতো লোডশেডিং আমার মনে হয় আগের কোন রমজানে কখনো হয়নি। সহনীয় পর্যায়ে লোডশেডিং হলেও কিছুটা স্বস্তিতে থাকা যেত।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (শাহরাস্তি জোনাল অফিস) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ‘রমজান মাসে প্রথম ২০ রোজা পর্যন্ত আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলো তখন বিদ্যুতের এতো চাহিদা ছিলো না, তবে ২১ রোজা থেকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। চাহিদা মোতাবেক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে কোনো লোডশেডিং হবে না। এর নিচে নামলেই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, শীঘ্রই অবস্থার পরিবর্তন হবে।’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

ইফতার ও সেহরীর সময় লোডশেডিংয়ে বিরক্ত স্থানীয়রা

শাহরাস্তিতে যখন তখন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনগণ

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টাই লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ও রাতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা।
একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় প্রতিনিয়ত লোডশেডিং হচ্ছে। ইফতারী, সেহরী এমনকি তারাবীর নামাজের সময় লোডশেডিংয়ে বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌরসভার বাসিন্দা নিলুফা বেগম বলেন, ‘দিনে অর্ধেক সময় এবং রাতেও সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসেও অসহনীয় লোডশেডিংয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’
কালীবাড়ি বাজার ব্যবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, ‘দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুত থাকছে সর্বোচ্চ তিন-চার ঘণ্টা। ঈদের সময় আমাদের বেচা বিক্রির মুহূর্তে এরকম লোডশেডিং সত্যিই মেনে নেয়ার মতো না। এতো লোডশেডিং আমার মনে হয় আগের কোন রমজানে কখনো হয়নি। সহনীয় পর্যায়ে লোডশেডিং হলেও কিছুটা স্বস্তিতে থাকা যেত।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (শাহরাস্তি জোনাল অফিস) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ‘রমজান মাসে প্রথম ২০ রোজা পর্যন্ত আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলো তখন বিদ্যুতের এতো চাহিদা ছিলো না, তবে ২১ রোজা থেকে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। চাহিদা মোতাবেক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে কোনো লোডশেডিং হবে না। এর নিচে নামলেই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, শীঘ্রই অবস্থার পরিবর্তন হবে।’