ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

শাহরাস্তিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক  আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে শাহরাস্তি  উপজেলা  প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ওইদিন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আবু ইসহাকের সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাতে সভাপ্রধানে দিবসের তাৎপর্যয়ের আলোকে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা প্রধানের বক্তব্য তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন উপলক্ষে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হচ্ছে।
৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা ইপিআর (বর্তমান বিজিবি) ওয়্যারলেস যোগে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচার করা হয় এবং ১৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় সমবেত হন।
তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা ছিল মূলত একটি আমের বাগান, পরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর এর নাম হয় মুজিবনগর। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্ব ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে চুড়ান্ত বিজয় এনে দেয়।
এ সময় অতিথি হিসেবে আসন অলঙ্কৃত করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী,শাহরাস্তি থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মর্ম সিং ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, শাহরাস্তি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, স্বাধীনতা যুদ্ধে  প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী  নারী মুক্তিযোদ্ধা জান্নাতুল মাওয়া (ইউএসএ প্রবাসী) শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাসির উদ্দীন, শাহরাস্তি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল শামীম, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোবারক হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ,  উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ আয়েসা আক্তার, উপজেলা মৎস্য অফিসার তৌসিব উদ্দিন, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আশ্রাফ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু, উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন, মাসুদ আলমসহ  বিভিন্ন ইউপির জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, সামাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া আলোচনা সভা শেষে স্বদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের ইমাম মো: ছফিউল্লাহ।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শাহরাস্তিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক  আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে শাহরাস্তি  উপজেলা  প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ওইদিন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আবু ইসহাকের সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাতে সভাপ্রধানে দিবসের তাৎপর্যয়ের আলোকে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা প্রধানের বক্তব্য তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন উপলক্ষে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হচ্ছে।
৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা ইপিআর (বর্তমান বিজিবি) ওয়্যারলেস যোগে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচার করা হয় এবং ১৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় সমবেত হন।
তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা ছিল মূলত একটি আমের বাগান, পরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর এর নাম হয় মুজিবনগর। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্ব ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে চুড়ান্ত বিজয় এনে দেয়।
এ সময় অতিথি হিসেবে আসন অলঙ্কৃত করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী,শাহরাস্তি থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মর্ম সিং ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, শাহরাস্তি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, স্বাধীনতা যুদ্ধে  প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী  নারী মুক্তিযোদ্ধা জান্নাতুল মাওয়া (ইউএসএ প্রবাসী) শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাসির উদ্দীন, শাহরাস্তি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল শামীম, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোবারক হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ,  উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ আয়েসা আক্তার, উপজেলা মৎস্য অফিসার তৌসিব উদ্দিন, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আশ্রাফ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু, উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন, মাসুদ আলমসহ  বিভিন্ন ইউপির জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, সামাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া আলোচনা সভা শেষে স্বদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের ইমাম মো: ছফিউল্লাহ।