চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের নিজস্ব তৈরি বাটারবন খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
শনিবার (৪ মে) রাতে বাটারবন খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ওই শিশুটির মা ওই দোকানে গিয়ে হট্টগোল করে কান্নাকাটি করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ হওয়া শিশুর নাম আরোওয়া। যার বয়স ২ বছর। সে মমিনপাড়ার বাসিন্দা। ক্ষুধা নিবারণের জন্যই ক্রিমযুক্ত বাটারবনটি তাকে তার মা কিনে খাইয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী শিশুর মা মমিনপাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে আসমা তালুকদার বলেন, দুই পিস বাটারবন বিশ টাকা দিয়ে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুড দোকান থেকে কিনে নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি বাটারবন খেয়ে আমার ২ বছরের ছোট্ট শিশুটি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি সবার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এদিকে সরেজমিনে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ধুলোবালিময় গ্লাস, পুরানো-বাসি খাবার এবং দোকানে মাকড়সার বাসা বেঁধে রয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকনের পরিচালক মো. হাসান বলেন, বাটারবনগুলো আমি বিক্রি করিনি। করেছে আমার দোকানের স্টাফ।
আর রাস্তার পাশের দোকান হওয়ায় ধুলোবালি তো একটু হবেই। তবে দোকান যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে আমি নজর রাখব। যে বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে হয়তো গরমেও অসুস্থ হতে পারে। তবে আমাদের নিজস্ব কারখানায় বাটারবনসহ সব খাবার তৈরি হচ্ছে। বাসি-পচা খাবার তো দোকানে রাখি না। তবুও ওনাদের সমস্যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী।
মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী মো. রুবেল বলেন, বাটারবনগুলো হয়তো গরমে নষ্ট হতে পারে। মালিক এগুলো দোকানে এনেছে বলেই বিক্রি করেছি। ভবিষ্যতে খাবার বিক্রিতে আরও সতর্ক হবো।