চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ঢাকাগামী আল আরাফাহ পরিবহন বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে নিমজ্জিত হয়।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এতে ২৫ জন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোন নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২৮ মে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ফকির বাজার বুড়ির বাড়ীর পুকুরে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের কর্মী এবং স্থানীয়রা মিলে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এসময় অজ্ঞাত ৭ বছর বয়সি এক শিশু ও বৃদ্ধকে গুরুতর অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল এসে স্থানীয়দের পুকুর ও বাসটির আশপাশ এলাকায় ব্যপক অনুসন্ধান চালিয়ে আর কোন যাত্রীকে খোঁজে পায়নি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল, হাজীগঞ্জ ফরিদগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ কুমার দে সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানাযায় মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আল আরাফাহ বাস ঢাকা মেট্রো-ব ১৫২০৯৭ গাড়ীটি ফকির বাজারের দক্ষিণে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুড়ির বাড়ীর পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক বাসের ডানদিক দেবে গেলে বাম পাশ দিয়ে কিছু যাত্রী তড়িঘড়ি করে বের হয়। আবার ডান দিকের কয়েকজন যাত্রী গ্লাস ভেঙে পানিতে সাতার কেটে পাড়ে উঠে।
গুরুতর আহত কয়েকজন যাত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এসময় অনেক যাত্রীর মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মালামাল লুট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাসের যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বাসটি দ্রুত গতিতে চলমান থাকায় সড়কের ভাঙ্গা স্থানে ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে বাসটি নিমজ্জিত হয়। তাছাড়া খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে প্রতিনিয়তই মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তুুহিন বেপারী, আল আমিন মেম্বার, ইউসুফ মিয়া বলেন, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের চাঁদপুর অংশের সংস্কার না হওয়ায় দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। বিশেষ করে ফকির বাজারের দক্ষিণ পাশে এ বুড়ির বাড়ীর পুকুরের পশ্চিম পাশ সড়কটি প্রায় এক হাত তলিয়ে গেছে। যে কারনে এখানে প্রতিনিয়ত ছোট বড় যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
স্থানীয়রা চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তাফস শীল বলেন, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং আহত যাত্রীদের খোঁজ নেই। গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে কথা বলে এ স্থানটির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ হাজীগঞ্জ সার্কেলের এসও হানিফ বলেন, সড়কটি ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছে। চলতি মাসে কাজ শুরু হচ্ছে। তার পরেও দুর্ঘটনার স্থানে সাময়িক চলাচলের লক্ষ্যে সংস্কার কাজ করে দেওয়া হবে।