ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তির কৃতি সন্তান সাংবাদিক মীর বিল্লালের অকাল প্রয়াণ !!!

মোঃ মাসুদ রানা : চাঁদপুরের শাহরাস্তির  কৃতিসন্তান ঢাকাস্থ  সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচার পত্রিকা (অনলাইন নিউজ পোর্টাল)  ও প্রস্তাবিত শীর্ষ টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক  মীর বিল্লাল হোসেন (৫৮) ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি …..  রাজিউন ।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত (৫ নভেম্বর) ভোররাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী সংলগ্ন কাজলা আবাসিক ভবনে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ কন্যা ১ পুত্র এবং মা সহ আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের পরিবার সূত্রে জানায়,  শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউপির আয়নাতলী গ্রামের মীর বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  ওই বাড়ির  পল্লী চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হকের  জ্যেষ্ঠপুত্র এবং শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালের বড় ভাই। তিনি ৮০র দশকে চাঁদপুরের  প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া জীবনের   সাপ্তাহিক চাঁদপুর, শাহরাস্তির  সাংবাদিক মরহুম আব্দুর রশিদের সাপ্তাহিক শাহরাস্তি সংবাদপত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় নিজেকে জড়িয়ে কর্মময় জীবন শুরু করেন। ওই সময় গণমাধ্যমে কাজ করে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করা বিষয়টি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তখন আধপেটা থেকে জাতির ও দেশের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেন তিনি। পরে   ১৯৯২ সালে সংসারের প্রয়োজনে পাড়ি জমান বিদেশে। সেখানে ৫ বৎসর কাটিয়ে আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতার নেশার ঘোরে দেশে ।
১৯৯৭ সালে দেশে ফিরে আবার নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকাস্থ শীর্ষ সমাচার সাপ্তাহিক পত্রিকা ও প্রস্তাবিত শীর্ষ টিভির অনুমোদনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। কাজপাগল সংবাদকর্মী মীর বিল্লাল বিদেশ ফেরত হলেও অভাব-অনটন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এমন প্রতিকূল পরিবেশে ও তিনি মুক্ত সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ওই সময় তার এলাকার ও আশপাশের একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র তৎকালীন সময়ে মামলার বেড়াজালে জড়াতে শুরু করে তাকে। তাদের নিলজ্জ হিংস্র থাবা এতটা ভয়ঙ্কর ছিল যা সামলিয়ে ক্ষুদ্র একজন মীর বিল্লাল টিকে উঠতে পারেননি। ক্রমান্বয়ে তিনি এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে একরকম ঢাকার অলিগলিতে নির্বাসিত জীবনযাপন শুরু করেন। পরিবার-পরিজন থেকে হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্ন। দুটো  ঈদে ও স্বজনরা তার সান্নিধ্য ও দেখা টুকু পেত না। এরইমধ্যে অচেনা ভাইরাস করোনা তার পেশাগত কাজকে সংকুচিত এবং অভাব-অনটন এতটা জেঁকে বসে যা সইতে গিয়ে তিনি আর পারছিলেন না। যে যুদ্ধটি তিনি মৃত্যুর সময়টা পর্যন্ত চালিয়ে আসছিলেন।
শেষ বেলায় মৃত্যুর দু’দিন আগে শাহরাস্তি প্রেসকাবের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঞা’র নিকট চিকিৎসা না করতে পারার আকুতির কষ্টের কথাটা জানিয়ে ছিলেন। এর দু’দিনের মাথায় তিনি আর চিকিৎসার প্রয়োজনের বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে নিজের কষ্ট পৃথিবীর কষ্ট সবকিছু নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। তার এ অকাল প্রয়াণের শোক যেন পরিবারটি সইতে পারে সেজন্য শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও গণমাধ্যমের সকল  সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট ইলিয়াছ মিন্টু, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি(সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক)  কাজী হুমায়ুন কবির, শাহরাস্তি প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য মো ফারুক আহমেদ চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, মইনুল ইসলাম কাজল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন কর্মকার মিঠুন, প্রেসক্লাবের সহ – যুগ্ন সম্পাদক সকলের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেদ, প্রেস ক্লাবের  সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, শাহরাস্তি মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ ,  রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সেন্টু।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তির কৃতি সন্তান সাংবাদিক মীর বিল্লালের অকাল প্রয়াণ !!!

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
মোঃ মাসুদ রানা : চাঁদপুরের শাহরাস্তির  কৃতিসন্তান ঢাকাস্থ  সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচার পত্রিকা (অনলাইন নিউজ পোর্টাল)  ও প্রস্তাবিত শীর্ষ টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক  মীর বিল্লাল হোসেন (৫৮) ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি …..  রাজিউন ।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত (৫ নভেম্বর) ভোররাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী সংলগ্ন কাজলা আবাসিক ভবনে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ কন্যা ১ পুত্র এবং মা সহ আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের পরিবার সূত্রে জানায়,  শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউপির আয়নাতলী গ্রামের মীর বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  ওই বাড়ির  পল্লী চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হকের  জ্যেষ্ঠপুত্র এবং শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালের বড় ভাই। তিনি ৮০র দশকে চাঁদপুরের  প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া জীবনের   সাপ্তাহিক চাঁদপুর, শাহরাস্তির  সাংবাদিক মরহুম আব্দুর রশিদের সাপ্তাহিক শাহরাস্তি সংবাদপত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় নিজেকে জড়িয়ে কর্মময় জীবন শুরু করেন। ওই সময় গণমাধ্যমে কাজ করে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করা বিষয়টি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তখন আধপেটা থেকে জাতির ও দেশের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেন তিনি। পরে   ১৯৯২ সালে সংসারের প্রয়োজনে পাড়ি জমান বিদেশে। সেখানে ৫ বৎসর কাটিয়ে আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতার নেশার ঘোরে দেশে ।
১৯৯৭ সালে দেশে ফিরে আবার নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকাস্থ শীর্ষ সমাচার সাপ্তাহিক পত্রিকা ও প্রস্তাবিত শীর্ষ টিভির অনুমোদনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। কাজপাগল সংবাদকর্মী মীর বিল্লাল বিদেশ ফেরত হলেও অভাব-অনটন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এমন প্রতিকূল পরিবেশে ও তিনি মুক্ত সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ওই সময় তার এলাকার ও আশপাশের একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র তৎকালীন সময়ে মামলার বেড়াজালে জড়াতে শুরু করে তাকে। তাদের নিলজ্জ হিংস্র থাবা এতটা ভয়ঙ্কর ছিল যা সামলিয়ে ক্ষুদ্র একজন মীর বিল্লাল টিকে উঠতে পারেননি। ক্রমান্বয়ে তিনি এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে একরকম ঢাকার অলিগলিতে নির্বাসিত জীবনযাপন শুরু করেন। পরিবার-পরিজন থেকে হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্ন। দুটো  ঈদে ও স্বজনরা তার সান্নিধ্য ও দেখা টুকু পেত না। এরইমধ্যে অচেনা ভাইরাস করোনা তার পেশাগত কাজকে সংকুচিত এবং অভাব-অনটন এতটা জেঁকে বসে যা সইতে গিয়ে তিনি আর পারছিলেন না। যে যুদ্ধটি তিনি মৃত্যুর সময়টা পর্যন্ত চালিয়ে আসছিলেন।
শেষ বেলায় মৃত্যুর দু’দিন আগে শাহরাস্তি প্রেসকাবের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঞা’র নিকট চিকিৎসা না করতে পারার আকুতির কষ্টের কথাটা জানিয়ে ছিলেন। এর দু’দিনের মাথায় তিনি আর চিকিৎসার প্রয়োজনের বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে নিজের কষ্ট পৃথিবীর কষ্ট সবকিছু নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। তার এ অকাল প্রয়াণের শোক যেন পরিবারটি সইতে পারে সেজন্য শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও গণমাধ্যমের সকল  সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট ইলিয়াছ মিন্টু, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি(সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক)  কাজী হুমায়ুন কবির, শাহরাস্তি প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য মো ফারুক আহমেদ চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, মইনুল ইসলাম কাজল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন কর্মকার মিঠুন, প্রেসক্লাবের সহ – যুগ্ন সম্পাদক সকলের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহমেদ, প্রেস ক্লাবের  সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, শাহরাস্তি মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ ,  রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সেন্টু।