মো. রাছেল : পরকীয়ার জের ধরে প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে দুই সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুই সন্তানের জননী বালিকা রানী (২৮) লাশ উদ্ধার করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের জলা তেতৈয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বালিকা রানীর দেবর ছোটন চন্দ্র জানান, আমার বড় ভাই (দয়াল) বৌদ্ধ প্রবাসে থাকার সুযোগে আমার বৌদি বালিকা রানী আমাদের বাড়ির পাশের দোকানদার কালু সরকারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আমার বাবা মা ও আমরা পরিবারের সবাই মিলে বৌদিকে কয়েক বার বুঝানোর পরেও বৌদি শুধরায়নি। তারপর আমরা তার বাবা জীবন মজুমদারকে বিষয়টি জানালে তিনি ও বৌদিকে বুঝানোর চেষ্টা করে তাতেও কোন কাজ হয়নি। আমি কালু সরকারকে কয়েক বার বুঝানোর পরেও সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।
নিহত বালিকার রানীর শ^শুর ক্ষিতিশ চন্দ্র জানান, সকাল থেকে আমার বউমা মোবাইলে কে বা কাহার সাথে উচ্চ বাক্যে কথা বলতে দেখেছি। তার কথা ও আচার আচারণ অসংগতি লক্ষ্য করা গেছে। তারপর থেকে সে কারো সাথে কথা না বলে ঘরে চলে যায়। আমার দুই নাতি খেলাধুলা শেষ করে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করতে থাকে। পরে আমরা বাড়ির লোকজন জরো হয়ে বউমাকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের বেড়ার টিন খোলে দেখি আমার বউমা বালিকা রানী ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে বিষয়টি কচুয়া থানা পুলিশকে অবগতি করি।
নিহত বালিকা রানীর বাবা জীবন মজুমদার জানান, আমার জামাই (দয়াল) প্রবাসে থাকায় সে সুযোগে আমার মেয়ে বালিকা বাড়ির পাশের দোকানদার কালু সরকারের সাথে পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। প্রেমে জড়িয়ে পড়া বিষয়টি আমার বেয়াই ক্ষিতিশ চন্দ্র আমাকে জানালে আমি আমার মেয়ে বালিকাকে অনেক বার বুঝানোর চেষ্টা করি। তারপরেও সে শুধরায়নি। আজ পরকীয়ার বলি হলো আমার মেয়ে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালু সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে কালু সরকার পালাতক ও তার দোকানও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) ছোনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরসহ অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।