নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর কচুয়া রহিমানগর লতিফিয়া এনামিয়া কমপ্লেক্স মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র বেলালকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্রের পরিবার কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
কচুয়া থানা পুলিশ লতিফিয়া এনামিয়া মাদ্রাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরণকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
অবশেষে কচুয়া থানা পুলিশের তৎপরতায় নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার এলাকা থেকে অপহরণকারী মূলহোতা রিপন ও আলাউদ্দিনকে আটক ও মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে অপহরণকারী দুইজনকে অপহরণ মামলার আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
মামা পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসার পঞ্চম তলা থেকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র বেলালকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ হলেও ঘটনার চারদিন পর তার পরিবার এই ঘটনাটি জানেন।
অপহরণকারীরা মোবাইলে ফোন করে শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মাদ্রাসার ছাত্র বেলালের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা জীবন-জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দেয়। বেলালকে তার নানীর কাছে রেখে যাওয়ার পর তারা রহিমানগর লতিফিয়া আনামিয়া মাদ্রাসায় তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেয়।
মাদ্রাসার পঞ্চম তলায় শিশু বেলাল সেখান থেকে পড়াশোনা করলেও ঘটনার দিন অপহরণকারীরা কৌশলে মামা পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছ থেকে তাকে নিয়ে যায়। ঘটনার দুইদিন পর অবরোধকারীরা শিশুটি নানির কাছে ফোন করে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহরণকারীরা বেশ কয়েকবার ফোন করে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
অবশেষে থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অপহরণকারী দুইজনকে আটক সহ শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এই বিষয়ে লতিফিয়া এনামিয়া কমপ্লেক্স মাদ্রাসা দায়িত্বরত শিক্ষক জানায়, শুক্রবার দুপুরে মামা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি এসে কিছু কেনাকাটা করে দেওয়ার নাম করে মাদ্রাসা নিচে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মাদ্রাসা এসে সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরণকারীকে সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়। এই মাদ্রাসায় অপহরণের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে। তবে তার মা বিদেশ থাকে সেই খবর পেয়ে অপহরণকারীরা সুকৌশলে তাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।