মো. রাছেল : কচুয়ায় দিন দিন বেড়ে চলেছে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার কিশোরদের রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। যাদের কারণে প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। তাদের উৎপাতে অনেক ছাত্রী পড়াশোনা ছাড়তেও বাধ্য হচ্ছে। শুধু ইভটিজিং নয় ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ড, মাদক-সেবনসহ নানান ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়তেছে উঠতি বয়সী এইসব কিশোররা। দেখা যায়, প্রতিনিয়তে মরণনেশা ইয়াবা-ফেন্সিডিল, গাজার মত মরন নেশায় আসক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা চুরি-ছিনতাই শুরু করেছে।

প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুন্নাকে সম্প্রতি রক্তাক্ত জখম করে মেহেদী হাসান নামের এক কিশোর। তারই রেশ ধরে বুধবার রহিমানগর বাজারে সুরমা বাস কাউন্টার সংলগ্ন এলাকায় একটি চা দোকানে মুন্না মেহেদী হাসানকে দেখতে পেয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ায়।
একপর্যায়ে মুন্না প্রকাশ্যে দিবালোকে মেহেদীকে চুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মেহেদীকে বেসিক এইড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জন্য স্থানীয়রা মুন্নাকে আটক করে তার বাবাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিলে সেখানে তারা জনরোষানলে পড়ে। কচুয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্না ও তার বাবা নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্না ও তার বাবা নুরুল আমিনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে করে থানায় নিয়ে আসি এবং ছুরিটি জব্দ করি। আহত মেহেদীর পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, মুন্না উপজেলার নাউলা গ্রামের ও মেহেদী হাসান খাজুরিয়া-লক্ষ্মীপুর গ্রামের অধিবাসী।