ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে মাদক সেবন করে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

এস. এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানের জনক জুয়েল(৩০) মাদক সেবনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

Model Hospital

৫ই মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মৃত জুয়েল উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খন্দকার বাড়ির মৃত সাহাজান খন্দকারের ছেলে। জুয়েল পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।

ঘটনার বিবরণে জানাযায়, জুয়েল প্রতিনিয়ত নেশা করতো। নেশা করার পর বাড়িতে তার স্ত্রীকে গালমন্দ ও মারধর করতো। রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে জুয়েলের স্ত্রী নয়ন বেগম জুয়েলের মায়ের কাছে বিচার দিলে সে গালমন্দ করে ফজরের সময় বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে সকাল ১১ টার দিকে বাড়ির অদুরে পালের বাড়ির বাগানে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় জুয়েলকে দেখতে পায় এবং স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ মৃত জুয়েলের পকেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত জুয়েল ও পরিবার মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

ফরিদগঞ্জে মাদক সেবন করে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

এস. এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানের জনক জুয়েল(৩০) মাদক সেবনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

Model Hospital

৫ই মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মৃত জুয়েল উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খন্দকার বাড়ির মৃত সাহাজান খন্দকারের ছেলে। জুয়েল পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।

ঘটনার বিবরণে জানাযায়, জুয়েল প্রতিনিয়ত নেশা করতো। নেশা করার পর বাড়িতে তার স্ত্রীকে গালমন্দ ও মারধর করতো। রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে জুয়েলের স্ত্রী নয়ন বেগম জুয়েলের মায়ের কাছে বিচার দিলে সে গালমন্দ করে ফজরের সময় বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে সকাল ১১ টার দিকে বাড়ির অদুরে পালের বাড়ির বাগানে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় জুয়েলকে দেখতে পায় এবং স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ মৃত জুয়েলের পকেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত জুয়েল ও পরিবার মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।