সজীব খান : চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে কার্ডধারী আড়াইশতাধিক জেলে বাতিল করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই প্রকৃত জেলে বলে তারা দাবি করেছে। জেলার প্রকৃত জেলেদের তালিকা সঠিক ভাবে হালনাগাদের সময় তাদেরকে বাতিল করা হয়।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
মঙ্গলবার হানারচরে জেলেদের জেলে কার্ডের চাল বিতরণের সময় বাতিলকৃত অধিকাংশ জেলেই পরিষদের এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদেরকে যাচাই বাচাই করে আবার ও জেলে তালিকায় তাদের নাম উঠানোর জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
মঙ্গলবার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিতরণের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাতিলকৃত জেলেদের বিষয়ে মৎস্য অফিসের সাথে কথা বলে সঠিক তালিকা করার আসস্ত করেন।
হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য মতে জেলে কার্ডের হাল নাগাদের সময় আড়াইশর বেশি জেলে কার্ড বাতিল করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রকৃত জেলে কিভাবে যাচাই বাইচ থেকে বাতিল হয়েছে, এর দায়ভার কে নেবে।
হানারচরে বাতিলকৃত জেলেরা বলেন, সরকারের নির্ধেষনা অনুযায়ী তারা জাটকা সংরক্ষেণ মার্চ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য নদী থেকে নৌকা ও টলার উপরে উঠিয়ে পেলেছে। এখন এ দুই মাস নদীতে মাছ স্বীকার করা থেকে তারা বিরত থাকবে। তাদের প্রধান আয়ের উৎস নদীতে মাছ স্বীকার করা, তা দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস সরকারি সহয়তা, চাল পেলে তাদের জীবিকা নিবাহ করতে সহজ হত, বাঁচতে পারতো, এখন তারা কি করবে, নদীতে মাছ স্বীকার করা থেকে ও বিরত রয়েছে, অন্যদিকে সরকারি ত্রান চাল পাওয়া থেকে ও বঞ্চিত হয়েছে। এ দুই মাস তাদের জীবন বাঁচাতে মরণব্যাধীযুদ্ধ করতে হবে।
হানারচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জেলে গিয়াস উদ্দিন, হানিফ মিজি, ৮নং ওয়ার্ডের কাদির খান, কাদির গাজী, ৭নং ওয়ার্ডে রামেশ্বর দেবসহ একাধিক জেলে জানান, তারা প্রকৃত জেলে, তাদেরকে কোন কারনে বাতিল করা হয়েছে। তা তাদের জানা নেই। এখন আবার তাদের বাচাই বাচাই করে জেলে তালিকায় অন্তঃভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি করেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান জানান, বাদ পড়ে থাকলে তাদরেকে নতুন করে অন্তভুক্ত করা সুযোগ আছে, আমাদের যে কমিটি আছে, তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রকৃত জেলেদের তালিকায় তাদের নাম আসবে।