নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর ঢাকা নৌ পথে চলাচল কারি যাত্রীবাহী লঞ্চ আব এ জমজমের ২য় তলার স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত তরুনীর (২০) উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় দু বছরে ও মিলেনি। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আব এ জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারদের ২৩৫ নং কেবিন থেকে তরুনীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এই ঘটনার খবর শুনে সেই দিন দুপুরে তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, চাঁদপুর নৌ থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জহিরুল হক উপ পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন পরিদর্শন করেন। যে কক্ষটি থেকে তরুনীর লাশ উদ্ধার করা হয় সেই কক্ষটি ছিল লঞ্চের গিজার সুজন মোল্লা , রাসেল খান ও মাসুম গাজী ব্যবহৃত কক্ষ । লঞ্চ চালানোর কারণে তারা কেবিনটি যাত্রীদের কাছে ভাড়া দিতেন।
ঘটনার দিন এ লঞ্চটি দুপুর ১টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারে নি। গিজার মোঃ রাসেল খান তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিল , ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা সদর ঘাট থেকে আব এ জমজম লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে । সাড়ে ৬শ’ টাকার বিনিময়ে কেবিনটি যুবক ও যুবতীকে ভাড়া দেয়া হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেবিনটি পরিস্কার করতে গেলে কক্ষটি বাইরে থেকে তালা বদ্ধ দেখতে পায়। পরে টিকেট কাউন্টারে গিয়ে যাত্রী কেবিনের চাবি জমা দিয়েছে কিনা খবর নিলে জানতেপারে কেউ জমা দেয়নি। পরে বিষয়টি ঘাট সুপারভাইজার বিল্পব সরকার কে অবগত করলে নৌ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক আব এ জমজম লঞ্চের দ্বিতৃয়তলার স্টাফ কেবিনের তালা ভেঙ্গে অচেনা তরুনীর লাশ দেখতে পায়। তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার দ্রুত ঘটনাস্হলে ছুটে আসেন। তরুনীর যার সাথে এসেছে সেই তাকে হত্যা করে লঞ্চের কেবিনে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তখন প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছিল তার সাথে খারাপ আচরন করা হতে পারে। পরে তরুনীর পায়জামার ফিতা গলায় পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সি আই ডি এবং পিবি আই ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু দু বছর অতিবাহি হয়ে গেলেও খুন হওয়া তরুনীর পরিচয় আইন শৃঙ্গলা রক্ষাকারি বাহিনী উম্মোচন করতে পারেনি। তাছাড়া এ হত্যা কান্ডের কয়েক বছর পূর্বে ঢাকা চরভৈরবী নৌ পথে চলাচলকারী একই কোম্পানীর আব এ জমজম লঞ্চ থেকে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ কেবিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই তরুণীর লাশের বিষয়ে লঞ্চের কর্তৃপক্ষ হিসেবে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। এখনপর্যন্ত সেই খুন হওয়া তরুণীর পরিচয় মিলেনি। এবার আব-এ-জমজম লঞ্চে আরও এক তরুণীর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়ছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌ পুলিশ এসে কামরুজ্জামান বলেন, আমরা যদি এ তরুনীর পরিচয় পেতাম তাহলে মামলা তদন্তে আরো অগ্রগতি হতো। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে যদি বিষয়টি তুরে ধরেন তাহলে হয়তো তরুনীর পরিচয় পাওয়া যেতে পারে।
চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন,তদন্ত চলছে, পরিচয় না পাওয়ার কারণে তদন্তে গতি পাচ্ছে না।