স্টাফ রিপোর্টার : কচুয়া উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারি ও ৭নং সদর ইউনিয়নের ফিল্ড অফিসার মনিকা রানী দাসকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত (১৮ এপ্রিল) সোমবার সকালে উপজেলার কোমরকাশা জামালিয়া কমপ্লেক্স ও এতিমখানার মাদ্রাসা উত্তর পাশে জসীম উদ্দীনের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মনিকা রানীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৮এপ্রিল সোমবার সকালে তার কর্মক্ষেত্র কোমরকাশায় গেলে সমিতির কয়েকজন সদস্যের সামনে সমিতির একজন সদস্য কোমরকাশা গ্রামের আলী আক্কাবরের ছেলে আতিকুর রহমানমনিকা রানী দাসের কাছে ঋণের টাকা দাবি করে। মনিকা ঋণ দেয়ার মালিকউর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ কথা বললে আতিকুর রেগে উঠে মনিকা রানীকে মারার জন্য তেড়ে আসে। তার সাথে থাকা দুই সহপাঠি কোমরকাশা জামালিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মকবুল হোসেনের ছেলে মাহফুজুর রহমান এবং একই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সাকিল আহমেদ মনিকাকে গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমান মনিকার গালে সজোড়ে থাপ্পর মারলে সে মাটিতে পরে যায়। মনিকা সাথে সাথে বিষয়টি পল্লী সঞ্চয় ব্যংকের ব্যবস্থাপক আফজালের রহমানকে জানালে তিনি বিষয়টি ইউএনও মোতাছেম বিল্যাহকে অবগত করলে ইউএনও কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মনিকা রানীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির অবগত হলে তিনি সমাধান করার আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার শাহজাহান শিশিরের কার্যালয়ে লাঞ্ছিত মনিকা রানী ও লাঞ্ছনাকারি আতিকুর রহমান, মাহফুজুর রহমান ও শাকিল আহেম্মদকে নিয়ে শালিসে বসে। এসময় পল্লী সঞ্চয় ব্যংকের ব্যবস্থাপক আফজালের রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান শিশির তরিঘড়ি করে লাঞ্ছনা কারি তিনজন আর কোন রকম আপরাধ করবে না এইমর্মে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেন। আফজালের রহমান তাদেরকে অর্থদন্ডের শাস্তি দিতে বললে শাহজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে মনিকা রানী বলেন- আমাকে লাঞ্ছিত করার এঘটনাটির বিচার একেবারেই অনায্য হয়েছে। তবে তারা আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হওয়ায় আমি এ বিষয়টি অনিচ্ছা সত্ত্বে ও মেনে নিয়েছি।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম বলেন- ঘটনাটি দুঃখ জনক প্রকাশ্যে দিবা লোকে একজন নারীর উপরে হামলা মেনে নেওয়ার মতো না। এর যথাযথ বিচার হওয়া উচিত।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরের কাছে জানতে চাইলে বার বার ফোন করার শর্তেও তাকে পাওয়া যায়নি।