স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের বাকিলা বাজারের পশ্চিম পাশে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের সড়ক ও জনপথের খাল ভরাটের মহোৎসব চলছে। ফুল ছোঁয়া, গোগরা, স্বর্ণাসহ আশপাশের প্রায় হাজার একর সম্পত্তি অনাবাদি হয়ে পড়বে। এর ফলে হাজার হাজার কৃষকদের মনে দুশ্চিন্তার বাসা বাধতে শুরু করেছে, বর্ষা শেষে আগামী মৌসুমে রবি শস্যে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
জানা যায়, বাকিলা অঞ্চলের নতুন করে রাস্তার দুই পাশে হাউজিং ব্যবসা করার জন্য খাল ভরাট করা হয়েছে। এ স্থানটি বন্ধ করার কারণে ফুলছোঁয়া, গোগরা, স্বর্ণার কয়েক হাজার একর জমি অনাবাদি থাকার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাকিলা স্কুলের শিক্ষক মজিব মাস্টার, জসিম, বোরখালের মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন মিলে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য খালটি ভরাট করেন। তারা সড়ক ভবনের উত্তর পাশে সম্পত্তি ক্রয় করে হাউজিং ব্যবসা করার জন্য কোন অদৃশ্য খুঁটির প্রভাব খাটিয়ে সকলের চোখের সামনে খাল ভরাট করছে। নাম মাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ করে খালটি ভরাট করছে। বিষয়টি দেখবে কে, সড়ক ভবন নাকি অন্য কেউ। খালটি বন্ধ না করার জন্য বাকিলার আশপাশের কয়েকটি এলাকার সাধারণ কৃষক তাদের আতঙ্কে প্রতিবাদ না করে দুশ্চিন্তায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে ।
এ বিষয়ে বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ না করার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেছি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সড়ক ভবনের সাভের্য়ার মারুফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, ঈদের বন্ধের সময় তারা এ কাজটি করেছে, বুধবার তাদেরকে নোর্টিশ করা হবে, তাদের বিরুদ্ধ বেআইনি ভাবে খাল ভরাট করায় মামলা ও করা হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বাকিলা স্কুলের শিক্ষক, খাল ভরাট এর অন্যতম হোতা মজিব মাস্টারের ব্যবহৃত ০১৮১৮…..৯ নাম্বারে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খালটি অবমুক্ত করার জন্য আশ পাশের কয়েক শতাধিক কৃষক চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।