ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের অভিনয়ে গণধর্ষণ; বিদেশে পালানোর পায়তারা প্রধান আসামীর

মতলব উত্তর ব্যুরো : প্রেমের অভিনয় করে প্রেমিকার সরলতার সুযোগে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাচানী গ্রামের আঃ সালাম মিজির ছেলে ইকবাল শামীম (৩৫)কে প্রধান করে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই ধর্ষিত তরুনী। তার বাড়িও একই গ্রামে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ওই তরুনীর সাথে প্রধান আসামীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের বিয়ের কথাও পাকা হয়। ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে ইকবাল শামীম প্রবাস থেকে দেশে আসে। গত ২১ জুন বাদীকে দেখা করতে বললে বাদী অসম্মতি জানায়।

আসামীর অনেক অনুরোধের পর তার কথা অনুযায়ী ঢাকার যাত্রীবাড়ীতে রাত ৮ টার সময় দেখা করে বাদী। ওই সময় আসামী ও তার বন্ধু মতলব উত্তরের বড়হলদিয়া গ্রামের আমজাদ প্রধানের ছেলে পারভেজ প্রধান এই দুইজন বাদীকে জোড় করে কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকা ১৪ নং রোডে অবস্থিত জননী বিল্ডিংয়ের ৩ তলা নিয়ে যায়। সেখানে বাদীকে রুমে আটকে রেখে রাত ১২.৩০ ঘটিকা হইতে ভোর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সকাল বেলা আসামীরা ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে বাদী। সেখান এসে ২২ জুন কেরানীগঞ্জ থানায় ওই ধর্ষিত তরুণী বাদী হয়ে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এর কিছুদিন পরে ওই বাদীকে প্রধান আসামী বিয়ে করবে প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে পাচানী গ্রামের তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সাদা কাগজে জোড়পুর্বক স্বাক্ষর নেয় প্রধান আসামী সহ তার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন। শুধু তাই তাকে গণধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয় এবং বাদীর পরিবারকে অনেক বড় ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় ওই তরুনী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় জিডি দায়ের করেন।

Model Hospital

বাদী বলেন, আসামী ইকবাল শামীমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কের কারণে তার অনুরোধে দেখা করতে যাই। ঘটনার পরে বিয়ের কথা বলে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে আর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই প্রধান আসামী মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশে পালিয়ে যাবে বলে পায়তারা করছে। আমি আইনের কাছে বিচার চাই।

মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, জিডি করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

ঢাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই সেনাসদস্য ও সাংবাদিকসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: পুলিশ

প্রেমের অভিনয়ে গণধর্ষণ; বিদেশে পালানোর পায়তারা প্রধান আসামীর

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : প্রেমের অভিনয় করে প্রেমিকার সরলতার সুযোগে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাচানী গ্রামের আঃ সালাম মিজির ছেলে ইকবাল শামীম (৩৫)কে প্রধান করে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই ধর্ষিত তরুনী। তার বাড়িও একই গ্রামে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ওই তরুনীর সাথে প্রধান আসামীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের বিয়ের কথাও পাকা হয়। ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে ইকবাল শামীম প্রবাস থেকে দেশে আসে। গত ২১ জুন বাদীকে দেখা করতে বললে বাদী অসম্মতি জানায়।

আসামীর অনেক অনুরোধের পর তার কথা অনুযায়ী ঢাকার যাত্রীবাড়ীতে রাত ৮ টার সময় দেখা করে বাদী। ওই সময় আসামী ও তার বন্ধু মতলব উত্তরের বড়হলদিয়া গ্রামের আমজাদ প্রধানের ছেলে পারভেজ প্রধান এই দুইজন বাদীকে জোড় করে কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকা ১৪ নং রোডে অবস্থিত জননী বিল্ডিংয়ের ৩ তলা নিয়ে যায়। সেখানে বাদীকে রুমে আটকে রেখে রাত ১২.৩০ ঘটিকা হইতে ভোর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সকাল বেলা আসামীরা ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে বাদী। সেখান এসে ২২ জুন কেরানীগঞ্জ থানায় ওই ধর্ষিত তরুণী বাদী হয়ে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এর কিছুদিন পরে ওই বাদীকে প্রধান আসামী বিয়ে করবে প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে পাচানী গ্রামের তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সাদা কাগজে জোড়পুর্বক স্বাক্ষর নেয় প্রধান আসামী সহ তার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন। শুধু তাই তাকে গণধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয় এবং বাদীর পরিবারকে অনেক বড় ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় ওই তরুনী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় জিডি দায়ের করেন।

Model Hospital

বাদী বলেন, আসামী ইকবাল শামীমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কের কারণে তার অনুরোধে দেখা করতে যাই। ঘটনার পরে বিয়ের কথা বলে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে আর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই প্রধান আসামী মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশে পালিয়ে যাবে বলে পায়তারা করছে। আমি আইনের কাছে বিচার চাই।

মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, জিডি করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।