নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর বাবুরহাট ইসলামিয়া ঋণদান সঞ্চয় সমিতির মালিক নাজমুল হুদা শামীম পরকীয়া করে বিজয় মেলায় ঘুরতে গিয়ে স্ত্রীর হাতে হাতেনাতে ধরা খেয়েছে। পরে পরকীয়া প্রেমিকা আশিকাটি ইউনিয়নের সালমা আক্তারকেসহ সমিতির মালিক নাজমুল হুদা শামীমকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। গণধোলাই খাওয়া নাজমুল হুদা শামীম সাময়িক আহত হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
ইসলামিয়া ঋণদান সঞ্চয় সমিতির মালিক নাজমুল হুদা শামীম এর পূর্বে ফেনীর জেলায় প্রথম বিয়ে গোপন করে চাঁদপুরে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করে।
সেই সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে তারপরেও সে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়া আসক্ত হয়। পরে ইসলামিয়া ঋণদান সঞ্চয় সমিতির ক্যাশিয়ার সালমা আক্তার ও তার বোনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই ঘটনা জানতে পেরে শামীমের স্ত্রীর সাথে বেশ কয়েকবার বাক-বিতণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটে।
অবশেষে দ্বিতীয় স্ত্রী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে স্ত্রীর চাপে পড়ে পরকীয়া প্রেমিকা সেই সালমা আক্তার ও তার বোনকে সমিতি থেকে বাদ দেওয়ার পরেও তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি ও দৈহিক সম্পর্ক করতে থাকে।
শুক্রবার রাতে চাঁদপুর বিজয় মেলায় নাজমুল হুদা শামীম পরকীয়া প্রেমিকা সালমা আক্তার কে নিয়ে ঘুরতে গেলে তার স্ত্রী হাতেনাতে ধরে উত্তম মাধ্যম দেয়।
এই ঘটনা শামীমের স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করার পর সে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার নাম করে পালিয়ে যায়।
শামীমের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, শামীম ফেনী থেকে চাঁদপুরে এসে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতো। পরে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে নিজেই বাবুরহাটে ইসলামিয়া ঋণদান সঞ্চয় সমিতির মালিক হয়ে কাজ শুরু করে। তার সমিতিতে বিভিন্ন মেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে এনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সালমা ও তার বোন দুজনের সাথেই তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার বড় বোন শামীমের জন্য বিষ খেয়েছে। সালমার বড় বোনকে নাজিরপাড়ায় এক ছেলের সাথে বিয়ে হলেও শামীমের জন্য সেই ঘর ভেঙে আবার চলে আসে। এই লম্পট পরকীয়া আসক্ত নাজমুল হুদা শামীমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাই।