ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়া গোহট উত্তরে চেয়াম্যান পদে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির

মেহেদী হাসান : আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে গোহট উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন (এম.এ)। তিনি ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণের পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করার পাশাপাশি জনগনের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িতে তাদের আস্থা ও বিশ^াস জোগাড় করে নিয়েছেন।

Model Hospital

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত তৃণমূল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আবারো মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে তাঁর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। জোট সরকারের আমলে বহু নির্যাতিত ৯০ দশকের এ নেতা তাঁর মনোনয়ন লাভে একটি স্রোতধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন। কর্মীদের দুঃখ ও দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। একইভাবে দলীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সু-দৃষ্টি কাড়ার ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভে দৃঢ় মনোবল পোষণ করছেন।

চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর দলীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ^াসী হয়ে ১৯৯০ সালে প্রথম ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পালগিরী বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও এর পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত। শিক্ষাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন দীর্ঘদিন থেকে। তাঁর সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়ে চলছেন। করোনাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দগুলো সুষম বন্টণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নানাভাবে বিপদগ্রস্থদের পাশে দাড়িয়েছেন। শিক্ষাগত জীবনে তিনি এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি থেকে এম,এ করেছেন।

সাংগঠনিকভাবে তিনি ১৯৯৭-৯৮ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, কচুয়া পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলন, ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রহসনের নির্বাচন, ২৮ অক্টোবর লগিবৈঠা আন্দোলন, ৫ জানুয়ারী জামায়াত শিবির তান্ডবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।

রাজনৈতিক নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি জানায়, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১১টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। ২০০০ ইং সনের ৭ মার্চ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফেলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও পরে তিনি মাদ্রাজ গিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছেন। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে হামলায় নির্যাতিত হয়ে অনেকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমনি অবস্থায়ও অবিরাম দলের প্রদত্ত দায়িত্ব সম্পাদনে কোন ত্রটি ও বিচ্যুতি ঘটতে দেননি।

তিনি আরো জানান, ২০ অক্টোবর ২০২ উপ-নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন। জয় লাভের পর থেকেই নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত যেকোন আন্দোলন, নির্বাচন, দলীয় কর্মকান্ড দলের স্বার্থে যথাযত ভাবে পালন করছেন। আর জীবন তাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন। দলের জন্য তাঁর এসব অবদানের কথা নেতৃবৃন্দ সু-বিবেচনা করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

কচুয়া গোহট উত্তরে চেয়াম্যান পদে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির

আপডেট সময় : ০৩:১০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

মেহেদী হাসান : আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে গোহট উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন (এম.এ)। তিনি ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণের পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করার পাশাপাশি জনগনের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িতে তাদের আস্থা ও বিশ^াস জোগাড় করে নিয়েছেন।

Model Hospital

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত তৃণমূল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আবারো মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে তাঁর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। জোট সরকারের আমলে বহু নির্যাতিত ৯০ দশকের এ নেতা তাঁর মনোনয়ন লাভে একটি স্রোতধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন। কর্মীদের দুঃখ ও দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। একইভাবে দলীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সু-দৃষ্টি কাড়ার ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভে দৃঢ় মনোবল পোষণ করছেন।

চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর দলীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ^াসী হয়ে ১৯৯০ সালে প্রথম ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পালগিরী বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও এর পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত। শিক্ষাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন দীর্ঘদিন থেকে। তাঁর সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়ে চলছেন। করোনাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দগুলো সুষম বন্টণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নানাভাবে বিপদগ্রস্থদের পাশে দাড়িয়েছেন। শিক্ষাগত জীবনে তিনি এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি থেকে এম,এ করেছেন।

সাংগঠনিকভাবে তিনি ১৯৯৭-৯৮ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, কচুয়া পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলন, ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রহসনের নির্বাচন, ২৮ অক্টোবর লগিবৈঠা আন্দোলন, ৫ জানুয়ারী জামায়াত শিবির তান্ডবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।

রাজনৈতিক নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি জানায়, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১১টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। ২০০০ ইং সনের ৭ মার্চ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফেলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও পরে তিনি মাদ্রাজ গিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছেন। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে হামলায় নির্যাতিত হয়ে অনেকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমনি অবস্থায়ও অবিরাম দলের প্রদত্ত দায়িত্ব সম্পাদনে কোন ত্রটি ও বিচ্যুতি ঘটতে দেননি।

তিনি আরো জানান, ২০ অক্টোবর ২০২ উপ-নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন। জয় লাভের পর থেকেই নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত যেকোন আন্দোলন, নির্বাচন, দলীয় কর্মকান্ড দলের স্বার্থে যথাযত ভাবে পালন করছেন। আর জীবন তাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন। দলের জন্য তাঁর এসব অবদানের কথা নেতৃবৃন্দ সু-বিবেচনা করবেন বলে তিনি আশাবাদী।