ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াকওয়েটি নির্মাণে জনগনের মানুষিক স্বাস্থ্যবিকাশ ত্বরান্বিত হবে : মেজর রফিকুল ইসলাম

মোঃ মাসুদ রানা : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে ৪২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ওয়াকওয়ের ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

Model Hospital

শনিবার দুপুরে (০৪-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)আয়োজনে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পৌর শহরের ছিখটিয়া ব্রিজ হতে সুচিপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর উত্তরপাড়ে এটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তারের সভাপ্রদানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেগা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি ১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।ওই দিন প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, প্রায় ৪২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ২ কি:মি: নির্মাণাধীন ওয়াকওয়েটি মফস্বল শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করবে। এটি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ জনপদের আপামর মানুষের মানুষিক স্বাস্থ্যবিকাশে স্বস্তি মিলবে ত্বরান্বিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরায়নের যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এটি তার বহিঃপ্রকাশে রুপ পেল।

এ সময় তিনি হাজিগঞ্জ শাহরাস্তির উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিশদ ব্যাখ্যা দেন। একপর্যায়ে তিনি বিজয়ের মাসে রণাঙ্গনের সেই বীর সেনানীদের কথা গভীরভাবে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

পৌর আ’লীগের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহছান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েলের যৌথ সঞ্চালনায় ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমডোর গোলাম সাদেক (এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি) চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ, অতিরিক্ত পরিচালক (বিআইডব্লিউটিএ) রাকিবুল ইসলাম তালুকদার, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, সিনিয়র পুলিশ সুপার চাঁদপুর (কচুয়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী,শাহরাস্তি পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিআইডব্লিটিএ) সাদিকুর রহমান, বন্দর পরিচালক অকিল নেওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদের একান্ত সহকারী মশিউর রহমান শাহীন, পৌর আ’লীগের সাবেক আহবায়ক রেজাউল করিম মিন্টু, উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইলিয়াস মিন্টু, উপজেলা আ’লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, যুবলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান আ’লীগ নেতা মুক্তার হোসেন মুক্তা, পৌর আলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মান্নান বেপারী, পৌর যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, ছাত্রলীগ সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন।

উল্লেখ্য, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ডাকাতিয়া নদীর তীরের ১৩ একর ভূমির উপর ভূমিতে ২ কি: মি (ওয়াকওয়ে) হাঁটার পথ উন্মুক্ত হবে, নদী দখলদার প্রবণতা রোধ হবে, নদীর উভয় তীরে পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। সুবিধাসমূহর মধ্যে ঃ নদীর তীর ভূমিতে হাঁটার পথ, পার্কিং ইয়ার্ড, বিশ্রামাগার ও টয়লেট কমপ্লেক্স, ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণ উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে, আর সি.সি র‌্যালিং, র‌্যামসহ আরসি.সি সিড়ি, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা, বসার জন্য ব্যাঞ্চ, বৃক্ষরোপণ, স্লোপপ্রটেকশন, একসেস ব্রিজ-কালভার্ট অন্যান্য অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এই প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় ৪২৪৮.৩৭ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২২।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘আজিজের আলুপুরি’ খেতে এত ভিড় কেন?

ওয়াকওয়েটি নির্মাণে জনগনের মানুষিক স্বাস্থ্যবিকাশ ত্বরান্বিত হবে : মেজর রফিকুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

মোঃ মাসুদ রানা : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে ৪২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ওয়াকওয়ের ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

Model Hospital

শনিবার দুপুরে (০৪-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)আয়োজনে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পৌর শহরের ছিখটিয়া ব্রিজ হতে সুচিপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর উত্তরপাড়ে এটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তারের সভাপ্রদানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেগা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি ১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।ওই দিন প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, প্রায় ৪২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ২ কি:মি: নির্মাণাধীন ওয়াকওয়েটি মফস্বল শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করবে। এটি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ জনপদের আপামর মানুষের মানুষিক স্বাস্থ্যবিকাশে স্বস্তি মিলবে ত্বরান্বিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরায়নের যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এটি তার বহিঃপ্রকাশে রুপ পেল।

এ সময় তিনি হাজিগঞ্জ শাহরাস্তির উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিশদ ব্যাখ্যা দেন। একপর্যায়ে তিনি বিজয়ের মাসে রণাঙ্গনের সেই বীর সেনানীদের কথা গভীরভাবে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

পৌর আ’লীগের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহছান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েলের যৌথ সঞ্চালনায় ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমডোর গোলাম সাদেক (এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি) চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ, অতিরিক্ত পরিচালক (বিআইডব্লিউটিএ) রাকিবুল ইসলাম তালুকদার, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান নাছরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, সিনিয়র পুলিশ সুপার চাঁদপুর (কচুয়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী,শাহরাস্তি পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিআইডব্লিটিএ) সাদিকুর রহমান, বন্দর পরিচালক অকিল নেওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদের একান্ত সহকারী মশিউর রহমান শাহীন, পৌর আ’লীগের সাবেক আহবায়ক রেজাউল করিম মিন্টু, উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইলিয়াস মিন্টু, উপজেলা আ’লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, যুবলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান আ’লীগ নেতা মুক্তার হোসেন মুক্তা, পৌর আলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মান্নান বেপারী, পৌর যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, ছাত্রলীগ সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন।

উল্লেখ্য, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ডাকাতিয়া নদীর তীরের ১৩ একর ভূমির উপর ভূমিতে ২ কি: মি (ওয়াকওয়ে) হাঁটার পথ উন্মুক্ত হবে, নদী দখলদার প্রবণতা রোধ হবে, নদীর উভয় তীরে পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। সুবিধাসমূহর মধ্যে ঃ নদীর তীর ভূমিতে হাঁটার পথ, পার্কিং ইয়ার্ড, বিশ্রামাগার ও টয়লেট কমপ্লেক্স, ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণ উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে, আর সি.সি র‌্যালিং, র‌্যামসহ আরসি.সি সিড়ি, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা, বসার জন্য ব্যাঞ্চ, বৃক্ষরোপণ, স্লোপপ্রটেকশন, একসেস ব্রিজ-কালভার্ট অন্যান্য অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এই প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় ৪২৪৮.৩৭ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২২।