ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে জুয়ারিদের গডফাদার ভাই ভাই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাদল আটক

চাঁদপুর পুরান বাজার ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুয়ারীদের গডফাদার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় দালাল মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।

Model Hospital

বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়ার নির্দেশে এস আই লোকমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুরান বাজার মেরকাটিস রোড থেকে দালাল মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করে। এ সময় মিজানুর রহমান খান বাদলের সহযোগী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিদ খান ডেঙ্গু ওরফে(ডেঙ্গু চোরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে এই মিজানুর রহমান খান বাদল তার ক্লাবে বড় ধরনের জুয়ার আসর বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া পুরান বাজারের মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারের সাথে তার ছিল গভীর সখ্যতা। অসহায় মানুষদের পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তার ক্লাবে এনে দরবার করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেছে মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিদ খান ডেঙ্গু।

সরকার পতনের পূর্বে এই মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী মজিদ খান ডেঙ্গু সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে।

দীর্ঘ বছর যাবত মধুসূদন স্কুল মাঠের কর্নারে সরকারি জায়গা দখল করে ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাব দিয়ে মিজানুর রহমান খান বাদল জুয়া মাদক ও দরবার বাণিজ্য করে আসছে এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ওয়াজ মাহফিলের নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে সে নিজেই আত্মসাৎ করতো।

এছাড়া তার এই ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের খেলাধুলার নামে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চাঁদপুরের ৩ আসনের সাবেক এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনির বড় ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল মিজানুর রহমান খান বাদল।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বালু খেকু নামে পরিচিত দুদকের মামলার আসামি মৃত সেলিম খানের অপকর্মের হোতা ছিল এই মিজানুর রহমান খান বাদল। তার ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি বানিয়েছে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে। পুলিশি চাকরি ও সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে এই শীর্ষ দালাল মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তাদের আয়ের উৎস ছিল জুয়া ও দালালি ব্যবসা। এছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে তাদের সাথে সখ্যতার মাধ্যমে মানুষদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত।

নাশকতা মামলায় মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করার পরে পুরান বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে ও জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এই ঘটনায় মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া জানায়, চাঁদপুরে নাশকতা মামলায় ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে তার ছবি পাওয়া গিয়েছে তাদেরকে ধরতে বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৮ইউনিট

চাঁদপুরে জুয়ারিদের গডফাদার ভাই ভাই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাদল আটক

আপডেট সময় : ১০:২১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুর পুরান বাজার ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুয়ারীদের গডফাদার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় দালাল মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।

Model Hospital

বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়ার নির্দেশে এস আই লোকমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুরান বাজার মেরকাটিস রোড থেকে দালাল মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করে। এ সময় মিজানুর রহমান খান বাদলের সহযোগী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিদ খান ডেঙ্গু ওরফে(ডেঙ্গু চোরা) দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে এই মিজানুর রহমান খান বাদল তার ক্লাবে বড় ধরনের জুয়ার আসর বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া পুরান বাজারের মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারের সাথে তার ছিল গভীর সখ্যতা। অসহায় মানুষদের পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তার ক্লাবে এনে দরবার করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেছে মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিদ খান ডেঙ্গু।

সরকার পতনের পূর্বে এই মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী মজিদ খান ডেঙ্গু সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে।

দীর্ঘ বছর যাবত মধুসূদন স্কুল মাঠের কর্নারে সরকারি জায়গা দখল করে ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাব দিয়ে মিজানুর রহমান খান বাদল জুয়া মাদক ও দরবার বাণিজ্য করে আসছে এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ওয়াজ মাহফিলের নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে সে নিজেই আত্মসাৎ করতো।

এছাড়া তার এই ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের খেলাধুলার নামে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চাঁদপুরের ৩ আসনের সাবেক এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনির বড় ভাই জেআর ওয়াদুদ টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল মিজানুর রহমান খান বাদল।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বালু খেকু নামে পরিচিত দুদকের মামলার আসামি মৃত সেলিম খানের অপকর্মের হোতা ছিল এই মিজানুর রহমান খান বাদল। তার ভাই ভাই স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি বানিয়েছে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে। পুলিশি চাকরি ও সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে এই শীর্ষ দালাল মিজানুর রহমান খান বাদল ও তার সহযোগী আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তাদের আয়ের উৎস ছিল জুয়া ও দালালি ব্যবসা। এছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে তাদের সাথে সখ্যতার মাধ্যমে মানুষদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত।

নাশকতা মামলায় মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করার পরে পুরান বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে ও জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এই ঘটনায় মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া জানায়, চাঁদপুরে নাশকতা মামলায় ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদলকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে তার ছবি পাওয়া গিয়েছে তাদেরকে ধরতে বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।