সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : ‘এসো মিলি মুক্তির মোহনায়’ এ শ্লোগানকে ধারন করে ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবসে আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় গৌরবের ৩০ বছর পূর্তিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
বুধবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। এর আগে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত ও পতাকা তুলে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একাত্তর ও পঁচাত্তরেরর পরাজিত শক্তিরা এখন দেশে বিদেশে থেকে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। এরাই তারা, যারা জাতিন পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দেশে ভয়াবহ অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আমরা আর পিছনে যেতে চাই না, আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। সকল ভুল ভ্রান্তি দূর করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অতিতের জঞ্জাল পরিস্কার করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের কাছে যা কিছু গ্রহণযোগ্য নয়, তা আওয়ামী লীগের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ কেউ বিভিন্ন আচরণ কিংবা কথার মাধ্যমে নিজেদের বিতর্কিত করছেন। এর মধ্যে অনেকেই সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। খুবই দুঃখজনক, এটি আমাদের কাম্য নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের সরকার।
বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্বাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও উদযাপন পরিষদের মহাসচিব হারুন আল রশিদের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মঈনুল হাসান।
এছাড়া বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইয়াকুব আলী মাস্টার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মেলাকে সফল করতে মেলা মাঠের স্টল ও মঞ্চ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ বছরের মেলার পদার্পণে সুবিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেলার কার্যক্রম। জেলা ও জেলার বাইরের প্রায় অর্ধশতাধিক সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন এবছর মেলা মঞ্চে দর্শক উপভোগ্য অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।
মেলা মঞ্চে প্রতিদিন থাকছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোচিত ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও মেলা মাঠে থাকছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গড়া সুসজ্জিত স্মৃতিসংরক্ষণ ৭১ গ্যালারী। থাকছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক। এখানে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চাঁদপুরের বীর সেনানীদের সাথে পরিচিত হতে পারবে।