২০১৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নেই ম্যানেজিং কমিটি, নেই এডহক কমিটি, এ ভাবেই এ দীর্ঘ সময় চলছে সুনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যোগ্য অভিভাবকের কারেন জর্রাজির্ন ভাবে চলছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। বিষয়টি এখন পর্যন্ত দেখার কেউ নেই।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সোমবার কথা হয় জেলা শিক্ষা অফিসার প্রানকৃষ্ণের সাথে, বিস্তারিত আলাপ চারিতায় বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে, তিনি বিদ্যালয়ের বিষয়ে তেমন অবগত না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
২০ জুন কথা হয় চাঁদপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের সাথে তিনি জানান, সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন প্রকার কমিটি নেই এটা বাস্তব সত্য, এডহক কমিটি ছাড়াই এ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি চলছে। করোনার পর চাঁদপুরের সকল স্কুলের কমিটি হলেও শুধু মাত্র সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়টিই রয়েছে কমিটি বিহীন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নিবার্র্হী কর্মকর্তা শিক্ষকদের ভেতন ভাতার কাগজে সাই দিয়ে দিয়ে আসছেন। সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারীকে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি কতটুকু নিয়েছে তা আমাদের জানা নেই। কমিটি ছাড়া কোন স্কুল চলতে পারেনা। কমিটি বিহীন বিদ্যালয় অসম্পূর্ন্ন থাকে। যবাব দিহীতার কোন মাধ্যম থাকেনা।
দ্রুত সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এহহক কমিটিসহ নিয়মিত কমিটির করার উদ্যোগে নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসারসহ কয়েকজন গনমান্যদের নিয়ে অতিদ্রুত এ বিষয়ে মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে এলাকার সবাইকে সহযোগীতা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী বিদ্যালয়ের কমিটি হোন সেটা তিনি চান।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের সাহাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম খোকন মল্লিক বিজয়ী হওয়ার পর কমিটি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি হাইকোট পর্যন্ত গড়ার। রফিকুল ইসলাম খোকন মল্লিক কমিটি নিয়ে হাইকোটে মামলা দায়ের করেন, সে মামলার কারন দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক এখন পর্যন্ত এডহক কমিটি করার উদ্যোগ নেননি।
বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত এলাকার সুনামধন্য বিদ্যাপিঠের নিয়মিত কমিটি করার জন্য জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে দ্রুত বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতি কৃতষ্ণতা প্রকাশ করেন।