ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকাল ০৪টায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ খলিলুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দসহ কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে আসেন। ছাত্রীনিবাসের সুপার উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, সহকারী সুপার রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক লিজা আক্তার এবং আবাসিক ছাত্রীরা অতিথিদের বরণ করে নেন।
কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রীনিবাসের সুপার, সহকারী সুপার এবং আবাসিক ছাত্রীরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
ছাত্রীনিবাসে অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস এবং অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এই মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছায়ার মত অনুসরণ করে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভেঙ্গে না পড়ে অসীম সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের দীর্ঘসময় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখনি বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন, তখনই তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাহস যুগিয়েছেন।
এই মহীয়সী নারী মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে গরিব ও অসহায় মানুষের সাহায্য করেছেন, বীরাঙ্গনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ স্বাধীনতাবিরোধী দেশি এবং বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘাতকচক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহিদ হন। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।’ অধ্যক্ষ মহোদয় ছাত্রীদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকীতে ছাত্রীনিবাসে কেক কাটা ও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।