স্টাফ রিপোর্টার : প্রতারকদের স্প্রে ছিটানোর ফাঁদে পরে নিজের সাথে থাকা স্বর্ণালংকারগুলো ক্ষুয়িয়েছেন বিউটি বেগম(৩৬)। তিনি পুরানবাজার ১নং ওয়ার্ডের ম্যারকাটিজ রোডের রওশন আলীর মেয়ে এবং ১ সন্তানের জননী। নোভা এইডে তিনি ব্লাড কালেকশন পদে চাকরী করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর শহরের গাংগোলী পাড়ায় তিনি প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন বলে তিনি দাবী করছেন।
১৪ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে বিউটি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন বিকালে কাজের ফাঁকে নোভা এইড থেকে বের হলে প্রথমে ১ জন তার চোখের সামনে স্প্রে জাতীয় কিছু ছিটায়। এতে তিনি অনেকটা বুদ্ধিহীন হয়ে পড়েন। পরে আরো ২জনসহ মোট এঘটনায় জড়িত ৩ জন তার শরীরে থাকা গহনা দাবী করেন। বুদ্ধিহীন থাকায় তিনি ওদের কথামতো নিজের পরনে থাকা কানের দূল, গলার চেইন এবং ১টি আন্টিসহ প্রায় ১৪ আনা স্বর্ণ ওদের হাতে তুলে দেন। প্রায় ৩ ঘন্টা পর তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিষয়টি বুজতে পেরে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে তেমন কোন ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশ। তাই বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রতারকদের গ্রেফতার ও হারানো স্বর্ণালংকার ফিরে পেতে তিনি চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বিউটি বেগমকে সহায়তাকারী শুভাকাঙ্খী আল ইমরান রাজি কবির সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা শুনা মাত্র তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ওসি আব্দুর রশীদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলের আশপাশ গিয়ে প্রতারকদের চিহ্নিত করতে সেখান থেকে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এখন বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
প্রতারণার স্বীকার হওয়া বিউটি বেগমের ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত আছেন জানিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রশীদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা প্রতারকদের খুঁজে পেতে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। হয়ত দ্রুত প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। এক্ষেত্রে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।